নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:- নবীগঞ্জ উপজেলার দাউদপুর গ্রামের দাঙ্গাবাজ সন্ত্রাসী ও পলাতক আসামী হাসন আলী (৪০) নামের এক জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নের ইউপি যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক বহুল আলোচিত সমালোচিত ও দাউদপুর গ্রামের
সন্ত্রাসী ফখরুল ইসলাম জুয়েল ও তার বাহিনী কর্তৃক একই গ্রামের সাংবাদিক এম.মুজিবুর রহমানের চাচাতো ভাই আলমগীর মিয়াকে তুচ্ছ ঘটনার জেরধরে গত ২১ মার্চ শুক্রবার দুপুরে তার বাড়িতে হানা দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘর থেকে জুয়েলের বাড়িতে তুলে নিয়ে চোখ বেঁধে নির্মমভাবে ঘন্টাব্যাপী নির্যাতন করে তাকে গুরুতর আহত করা হয়৷ আলমগীরের সু-চিৎকারে তাকে বাঁচাতে তার আত্মীয় স্বজনরা এগিয়ে আসলে জুয়েল বাহিনীর হামলায় আলমগীর মিয়ার আত্মীয় স্বজনদের ঘর-বাড়ীতে হামলা করে আরো অন্তত ১৫জনকে আহত করে৷ এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলে বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো ওই জুয়েল বাহিনী গত ১৫ এপ্রিল সাংবাদিক মুজিবুর রহমান ও তাদের আত্মীয় স্বজনের ঘর-বাড়ি, দোকানপাটে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে আবারো দফায় দফায় হামলা ও সংঘর্ষ চালায়। এতে আরো ২৫ জন আহত হন৷ পরে, গত ২১ মার্চ ও ১৫ এপ্রিল দফায় দফায় হামলার ঘটনায় উপজেলার সর্বত্র এ নিয়ে তুলপাড় সৃষ্টি হয়৷ উক্ত ঘটনায় উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক মিটিংয়ে এনিয়ে একাধিক বার আলোচনা হয়। কিন্তু জুয়েল বাহিনী সামাজিক বিচার পঞ্চায়েত ও আইনকানুনের ধার ধারেনা৷ এতে, নিরুপায় হয়ে অবশেষে হামলার শিকার নির্যাতিত আনছার মিয়া নামের এক ব্যক্তির মামলায় এফ আই আরভূক্ত আসামি যুবলীগ নেতা জুয়েল ও তার সেকেন্ড ইন কমান্ড হাসন আলী সহ ১৬ জন দাগী সন্ত্রাসী আত্ম গোপনে চলে যায়। এরই প্রেক্ষিতে জুয়েল বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হাসন আলী নামের দাঙ্গাবাজকে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এস,আই অনিক বাবুর নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আউশকান্দি হীরাগঞ্জ বাজার থেকে ১ মে বৃহস্পতিবার বিকালে গ্রেফতার করা হয়৷ তার বিরুদ্ধে থানায় ও আদালতে একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে৷
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ কামাল হোসেন গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও তিনি জানান।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন