বিশেষ প্রতিনিধিঃ
একজন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশি সিটিজেন নারী উনার স্বামী কর্তৃক ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে আসছিলেন ১ বছর যাবত। উনার সাথে কিছু ঘনিষ্ঠ সময়ের ছবি ও ভিডিও দিয়ে উনাকে মানসিক ভাবে টর্চার করছিলেন তার স্বামী। এরপর তিনি সাইবার ক্রাইম এসিস্টস ইনভেস্টিগেশন (সিসিএআই) এর প্রধান, ফাহিম আহমদ জনি এর সাথে যোগাযোগ করেন। "তিনি জানান উনার স্বামীর সাথে ডিভোর্স হয়েছে গত ১ বছর আগে, ডিভোর্স হওয়ার প্রধান কারণ উনার স্বামী সব সময় উনাকে টাকা দেওয়ার জন্য ফোর্স করতেন, এবং তিনি টাকা না দিলে উনার সাথে একান্ত মূহুর্তের কিছু ছবি ও ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিবেন বলে হুমকি দিতেন। বহু কারণের মধ্যে এই একটি কারণে উনাদের ডিভোর্স হলেও ছবি এবং ভিডিওগুলো উনার কাছে থেকে যায়। ডিভোর্স হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই উনার স্বামী উনার নামে ফেইক ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে উনার সকল আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিচিত প্রতিবেশীদেরকে সেই ফেইক অ্যাকাউন্টে এড করে নেন। তারপর উনার সাথে থাকা কিছু একান্ত মূহুর্তের ছবি উনি ফেইসবুকে আপলোড করা শুরু করেন, এবং বিভিন্নজনকে মেসেজের মাধ্যমে ছবিগুলো পাঠাতে থাকেন। তারপর উনি উনার ডিভোর্সী স্বামীকে এইগুলো ডিলিট করতে বললে উনি অনেক বড় অংকের টাকা দাবি করেন, এবং তিনি নিজের সম্মান বাঁচানোর জন্য টাকা দেন। কিন্তু উনার এক্স স্বামী এগুলো আপলোড করা বা মানুষকে মেসেজ করা বন্ধ করেননি। একপর্যায়ে তিনি অপারগ হয়ে উনার ডিমান্ড অনুযায়ী টাকা দিতে থাকেন ১ বছর যাবত। কিছুদিন আগে উইমেন্স সেক্টরের লিডার, মিস্ Tawhida Islam Mou এর ফেসবুক পোস্ট দেখে তিনি যোগাযোগ করলে, মিস্ তৌহিদা মৌ, সাইবার ক্রাইম এসিস্টস ইনভেস্টিগেশন এর ডিরেক্টর অব অপারেশন্স, জনাব ফাহিম আহমদ জনি এর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন, তারপর উনি যোগাযোগ করলে, জনাব ফাহিম আহমদ জনি সকল ঘটনা শুনে উনাকে আশ্বস্ত করেন যে অতিদ্রুততার সাথে উনার এই গুরুতর সমস্যাটি সমাধান করে দিবেন। প্রথমে উনার নামে যতো ফেইক অ্যাকাউন্ট ছিলো সকল ছবি, ভিডিও সহ অ্যাকাউন্ট গুলো সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রিমুভ করতে সক্ষম হয় সাইবার ক্রাইম এসিস্টস ইনভেস্টিগেশন এর টিম ব্লাক ফোর্স ২.০ এবং এন্টি হ্যারাজমেন্ট টিম। পরিশেষে মামলা হলে উনার হাসবেন্ডকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিঃদ্রঃ কিন্তু, আমাদের এই বিষয়ে আরো অনেক বেশি সচেতন হতে হবে, আমরা নিজেরা সচেতন না হলে কখনোই এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবো না, তাই আপনারা আপনাদের ফ্যামিলি, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুদের সচেতন করবেন এই বিষয়ে এবং এই ধরনের কোনো সমস্যায় পড়লে অতিদ্রুত আপনাদের নিকটস্থ পুলিশের সহায়তা নিন, বাংলাদেশ পুলিশ এইসব বিষয়ে খুব সাপোর্টিভ। এবং আমাদের টিমও রেডি আছে আপনাদের সাহায্য করার জন্য। সিসিএআই।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন