মাকে নির্যাতন করে আলোচনায় মামলাবাজ শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ মাকে নির্যাতন করে আলোচনায় উঠে আসা শৈলকুপার সাবেক সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা এবার বোন ও ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করে হয়রানীর নজীর সৃষ্টি করেছেন। মেয়ের এমন অত্যাচারে ইতোপূর্বে মা সংবাদ সম্মেলনও করেছিলেন। প্রতিকার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। মেয়ের বিরুদ্ধে শৈলকুপা থানায় জিডি করতে গিয়েছিলেন, কিন্তু থানা জিডি গ্রহন করেনি। শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌস আরার বাড়ি ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ফাজিলপুরে। সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন শৈলকুপায়। তবে একই পদে সদ্য যোগদান করেছেন খুলনা সদরে। অভিযোগ উঠেছে, ফেরদৌস আরার পিতা মৃত আবু বকর সিদ্দিকীর রেখে যাওয়া সম্পদ পরিবারের সবার নামে থাকলেও সেই সম্পদ একা ভোগ করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌস আরা। পিতার রেখে যাওয়া জমিতে বাড়ি নির্মাণ করে তা ভাড়া দিয়ে যা আয় হয় তা দিয়েই সংসার চালাতেন মা আঞ্জুমান আরা খানম। তবে সেই বাড়ি নিজের দখলে নিতে ফেরদৌস আরা ও তার স্বামী এসে ঘরের ভাড়াটিয়াদের বের করে তালা লাগিয়ে দেন। এছাড়া পিতার বসতবাড়ি তার নামে লিখে দিতে অত্যাচার-নির্যাতন করেন ফেরদৌস আরা। না পেরে ২০২৩ সালে আদালতে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন ছোট বোন শৈলকুপা মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জাফরিন আরা ও তার স্বামী শৈলকুপা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আফরোজ আল মামুনের নামে। একই বছরের ১৬ নভেম্বর মিথ্যা ও হয়রানিমূলক জিডি, ২২ তারিখে দেওয়ানী মামলা, ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল ১০৭/১১৭(৩) ধারায় ফৌজদারী মামলা, চলতি বছরের ১০ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ ও ১০ জুলাই সহকারী পুলিশ সুপার বরাবর মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেন ফেরদৌস আরা। এদিকে ফেরদৌস আরার একর পর এক দায়ের করা মামলা তদন্তে নামে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে শৈলকুপা থানার উপ-পরিদর্শক সাজ্জাদুর রহমান ঘটনাস্থলে না গিয়েই ইচ্ছেমতো তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে পেশ করেন। এতে প্রকৃত ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়। পুলিশী তদন্তে এক সম্পদ লোভী নারীর উচ্চভিলাষি চক্রান্ত ধামাচাপা পড়ে যায়। শৈলকুপা মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জাফরিন আরা বলেন, মায়ের পক্ষ নিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে ফেরদৌস আরা আমাদের হয়রানি করছে। আমরা এর সঠিক তদন্ত চাচ্ছি, কিন্তু পাচ্ছি না। শিক্ষা কর্মকর্তা অভিযুক্ত ফেরদৌস আরা মুঠোফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন