দুদকসহ ৫ প্রতিষ্ঠানের পুনর্গঠন চান ড. ইফতেখারুজ্জামান

gbn

দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পুনর্গঠনের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়েছিল। দুর্নীতির স্বার্থে গোয়েন্দা সংস্থাকে ব্যবহার করা হয়েছে। যারা আইনের রক্ষক হওয়ার কথা ছিল তারা ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।

এমন কোনো অপরাধ ঘটেনি, যেখানে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সম্পৃক্ততা ছিল না। দুর্নীতি দমন কমিশনের নেতৃত্বের দুর্বলতা এবং রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে প্রতিষ্ঠানটি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

 

শনিবার (৩১ আগস্ট) সকালে রাজধানীর এফডিসিতে অনুষ্ঠিত এক ছায়া সংসদে অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত দুর্নীতি প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে এই ছায়া সংসদ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

 

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে জাতীয় সংসদ। কিন্তু বিগত সরকার সংসদকে পুতুল নাচের নাট্যশালায় পরিণত করায় সেই সংসদ দুর্নীতি প্রতিরোধে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। কর্তৃত্ববাদী শাসনের কারণে বিগত সময়ে ব্যাপক মাত্রায় দুর্নীতির প্রসার হয়েছে।

এ ছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, সিআইডি, অ্যাটর্নি জেনারেল অফিস এবং বাংলাদেশ ফাইনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের যথাযথ সংস্কার করতে হবে।

 

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরো বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতির যে অভিযোগ এসেছে, তা নাকচ করা যায় না। রাষ্ট্র এই অভিযোগ বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। বাংলাদেশ থেকে যে পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে তা দেশের প্রচলিত আইন ও আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী ফিরিয়ে আনা সম্ভব বলেও জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সর্বগ্রাসী দুর্নীতি বাংলাদেশের ইতিহাসের বড় কালো দাগ।

সর্বস্তরে দুর্নীতি ক্যান্সারের রূপ ধারণ করেছে। দুর্নীতির এই ক্যান্সার অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যারা দুদকের মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছেন তাদের হয়রানিমুক্ত করা উচিত। এ ছাড়া নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত বিচারব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী, প্রশাসনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছে। গুম-খুন, আয়নাঘরের সৃষ্টি করে মানুষের মধ্যে ভীতি তৈরি করেছিল। সবই করা হয়েছে বহুমাত্রিক দুর্নীতির ওপর ভর করে।

 

মেগাপ্রকল্পের নামে মেগাদুর্নীতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিগত সরকার তার পতনকালে দেশের জনগণের কাঁধে ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি বৈদেশিক ঋণের বোঝা রেখে গেছে। দেশের বর্তমান অনাদায়ি ঋণের পরিমাণ প্রায় ছয় লাখ কোটি টাকা। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ব্যাংক-বীমা, পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, যোগাযোগ, কৃষিসহ সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতির বেড়াজালে আবদ্ধ ছিল বিগত সরকার।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন