গত মৌসুমে উড়ন্ত নৈপুণ্য দেখানো আর্লিং হালান্ড এবার যেন আগের ছন্দে নেই। সবশেষ তিন ম্যাচেই পাননি গোলের দেখা। তাতে সমালোচনাও শুনতে হচ্ছিল তাকে। সেই হালান্ডকে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে শুরুর একাদশেই রাখেননি পেপ গার্দিওলা।
এমনকি বদলি হিসেবেও নামানো হয়নি।
কেনো তাকে নামানো হয়নি সেই ব্যাখ্যা হয়তো জানা যাবে পরে কিন্তু হালান্ডের অনুপস্থিতি যেন এতটুকুও টের পেল না সিটিজেনরা। আক্রমণে ছড়ি ঘুরিয়ে সব আলো নিজের করে নিয়েছেন ফিল ফোডেন। এই ইংলিশ ফরোয়ার্ডের হ্যাটট্রিকে ভিলাকে হারিয়েছে ৪-১ ব্যবধানে।
প্রথম লেগে ভিলার কাছেই ১-০ গোলে হেরেছিল সিটি। এবার অবশ্য আর কোনো সুযোগ দেয়নি গার্দিওলার শিষ্যরা।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে এগারো মিনিটে স্বাগতিক দর্শকদের এগিয়ে যাওয়া আনন্দে মাতান রদ্রি। যদিও একটু পরেই জন ডুরানের গোলে সমতা ফেরায় অ্যাস্টন ভিলা।
তবে আক্রমণে চাপ অব্যাহত রেখে মধ্যবিরতিতে যাওয়ার আগেই ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় সিটি। ফ্রিকিকে দারুণ এক গোলে দলকে এগিয়ে নেন ফিল ফোডেন।
বিরতি থেকে ফিরে ভিলার ওপর আরও চাপ বাড়ায় সিটিজেনরা। সুবাদে গোলও পেয়ে যায় চ্যাম্পিয়নরা। ৬২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় এবং ম্যানসিটির তৃতীয় গোল করেন ফোডেন।
রদ্রির বুদ্ধিতৃপ্ত পাস পেয়ে বাম পায়ের মাপা শটে জাল খুঁজে নেন ইংলিশ এই ফরোয়ার্ড। সাত মিনিট পরেই হ্যাটট্রিকও করে ফেলেন ফোডেন। অ্যাস্টন ভিলার এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে বাম পায়ের নিখুঁত শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে হ্যাটট্রিকের আনন্দে ভাসেন ফোডেন। বাকি সময়ে অবশ্য আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি সিটিজেনরা।
এই জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনেই থাকল সিটি। ৩০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৬৭। আর ৬৮ পয়েন্টে শীর্ষে আর্সেনাল। ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লিভারপুল। যদিও অলরেডরা এক ম্যাচ কম খেলেছে। আজ রাতে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে হারালেই শীর্ষে উঠে আসবে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন