অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় এক দিনে পাঁচ নারীকে হত্যা করা হয়েছে, যার মধ্যে তিনজন একটি পতিতালয়ে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। দেশটির কর্তৃপক্ষ ঘটনার পরের দিন শনিবার তদন্ত শুরু করেছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশকে সতর্ক করার পর স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে ভিয়েনার সুবিধাবঞ্চিত ব্রিজিটেনাউ জেলার একটি পতিতালয়ে মারাত্মকভাবে ছুরিকাহত তিন তরুণীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরে পুলিশ শনিবার জানায়, ২৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে হত্যাকাণ্ডের সন্দেহে কাছাকাছি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাঁর কাছ থেকে হত্যার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত বলে ধারণা করা একটি ছুরি জব্দ করা হয়েছে।
অস্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এপিএ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানা যায়নি।
এ ছাড়া একটি পৃথক ঘটনায় একই দিনে ভিয়েনার একটি অ্যাপার্টমেন্টে একজন মা ও তাঁর ১৩ বছর বয়সী মেয়েকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তাদের সম্ভবত শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে এবং বাবা প্রধান সন্দেহভাজন বলে এপিএ জানিয়েছে।
অস্ট্রিয়ার স্বায়ত্তশাসিত নারী আশ্রয়কেন্দ্রের অ্যাসোসিয়েশন গত বছর ২৬টি নারী হত্যা রেকর্ড করে।
এরপর প্রায়ই সঙ্গী বা প্রাক্তন সঙ্গীদের হাতে নারীদের খুন হওয়া নিয়ে অস্ট্রিয়া ও ইউরোপজুড়ে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ে। দেশটির সরকার এ ধরনের অপরাধ দমন এবং সহিংসতার শিকারদের সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর জন্য তহবিল বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
কিন্তু এনজিওগুলো বলছে, সরকার হত্যাকাণ্ড বন্ধে যথেষ্ট কাজ করছে না। সরকারি সমীক্ষা অনুসারে, ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে অস্ট্রিয়ায় ৩১৯ জন নারীকে হত্যা করা হয়েছে, যার অধিকাংশই তাদের পুরুষ সঙ্গী বা প্রাক্তন সঙ্গীদের হাতে খুন হয়েছে।
২০১৯ সালে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৪৩ জন খুন হয়েছে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন