মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আনোয়ার খান জুনোর মৃত্যুতে ন্যাপ'র শোক

gbn



কমিউনিস্ট নেতা, মুক্তিযোদ্ধা হায়দার আনোয়ার খান জুনোর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোক বার্তায় নেতৃদ্বয় মরহুমের অমর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তার রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

শোকবার্তায় নেতৃদ্বয় বলেন, আজীবন খেটে খাওয়া মানুষের মুক্তির আন্দোলনে নিবেদিত হায়দার আনোয়ার খান জুনোর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে দেশপ্রেমের রাজনীতির একটি অধ্যায়ের সমাপ্ত হলো। হায়দার আনোয়ার খান জুনো রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি প্রগতিশীল গণমুখী সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতেও ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছেন।

তারা বলেন, মেহনতি মানুষের শোষণমুক্তির সংগ্রামে সংস্কৃতির হাতিয়ারকে কিভাবে কাজে লাগানো যায় সে ব্যাপারে তিনি কাজ করেছেন আজীবন। নতুন নতুন গণসংগীত রচনা, গণশিল্পীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং তরুণ ও নতুন প্রতিভাবান শিল্পীদের মার্কসবাদী মতাদর্শে শিক্ষিত করার জন্য তিনি নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। এই ব্যাপারে একটা বড় রকমের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন।

উল্লেখ্য, কমিউনিস্ট নেতা হায়দার আকবর খান রণোর ছোট ভাই জুনোর জন্ম ১৯৪৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর কলকাতায়। তাদের পৈতৃক নিবাস নড়াইলের বরাশুলা গ্রামে। বাবা হাতেম আলী খান ছিলেন একজন প্রকৌশলী। নানা প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ সৈয়দ নওশের আলী। স্কুল জীবনেই কমিউনিস্ট রাজনীতির দীক্ষা নিয়েছিলেন জুনো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যায় মাস্টার্স করলেও রাজনীতিকেই তিনি পেশা হিসেবে নেন।

পাকিস্তান আমলে ১৯৬২ সালে শিক্ষা আন্দোলনে যুক্ত হয়ে কারাবরণ করেন জুনো। তখন তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় কর্মী। তার ভাই রণো তখন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি। পরে জুনো ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ষাটের দশকে কমিউনিস্ট আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া জুনো ছিলেন চীনপন্থি শিবিরে। ১৯৭০ সালে বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন গঠিত হলে তিনি এর সভাপতির দায়িত্ব নেন।

স্বাধীনতার পর জুনো লেনিনবাদী কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে তিনি ইউনাইডেট পিপলস পার্টির (ইউপিপির) সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক হন। ১৯৭৯ সালে ওয়ার্কার্স পার্টি গঠিত হলে দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন তিনি।

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে গেরিলা হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন জুনো। পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র জুনো তখন বোমা তৈরির কাজ করছিলেন। প্রয়াত আব্দুল মান্নান ভূইয়াদের সঙ্গে তিনি নরসিংদীর শিবপুরে প্রতিরোধ যুদ্ধেও অংশগ্রহন করেন।

জুনো রাজনৈতিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি প্রগতিশীল গণমুখী সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতেও ভূমিকা রেখেছেন। গণ-সংস্কৃতি ফ্রন্টের সভাপতি ছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ কিউবা সংহতি কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন