ইরান সোমবার বলেছে, ইসরায়েল-গাজা সংঘাতে রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছনোর জন্য সময় ফুরিয়ে আসছে। পাশাপাশি যুদ্ধের বিস্তার সম্পর্কেও সতর্ক করেছে দেশটি।
হামাসের শত শত যোদ্ধা গাজার সীমান্ত ভেঙে ইসরায়েলে হামলা চালায়। এর এক দিন পর ইসরায়েল ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে।
ইসরায়েলে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। দীর্ঘ অবরুদ্ধ ও দরিদ্র গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলও নিরলস বোমা হামলা চালিয়ে জবাব দিয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৮০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
ইরান হামাসের হামলার পর উদযাপন করেছে।
কিন্তু তারা জোর দিয়ে বলেছে, তারা হামলায় জড়িত ছিল না।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি সোমবার রুশ এবং তুর্কি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। রাইসির রাজনৈতিক সহকারী মোহাম্মদ জামশিদি এক্সে বলেছেন, এ সময় ইরানি প্রেসিডেন্ট ‘জায়নবাদী শাসকদের অপরাধ অব্যাহত রাখার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।’
এ ছাড়াও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলার সময় রাইসি অন্যান্য ফ্রন্টে যুদ্ধের বিস্তারের আশঙ্কা সম্পর্কে সতর্ক করেছেন।
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা রাইসিকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘এটা ঘটলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা আরো কঠিন হবে।’
অন্যদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এক্সে জোর দিয়ে বলেছেন, সংঘর্ষের রাজনৈতিক সমাধানের জন্য সময় ফুরিয়ে আসছে। তিনি মালয়েশিয়া, পাকিস্তান ও তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বলেছেন, ‘অন্যান্য ফ্রন্টে যুদ্ধের সম্ভাব্য বিস্তার একটি অনিবার্য পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
দীর্ঘ অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রিমাত্রিক (স্থল, আকাশ ও সমুদ্র) আক্রমণের জন্য ইসরায়েল প্রস্তুত হওয়ার সময় এ মন্তব্য এলো। হামাসের সমর্থক ইরান বারবার সতর্ক করেছে, গাজায় আগ্রাসন অন্যান্য ফ্রন্ট থেকে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে।
এতে অন্য দেশগুলোও বৃহত্তর সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি করবে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন