সিলেট থেকে আমাদেন নিজস্ব প্রতিবেদক বুলবুল আহমেদ জানান-:
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশ-বিদেশে চলছিল নানান জল্পনা-কল্পনা। এর অবসান হলো গতকালের নির্চনানে। এর মধ্যে মেয়র পদপ্রার্থী বিশাল ব্যবধানে বিজয় অর্জন করে সিলেটে দশ বছর পিছিয়ে পড়া ডুবন্ত নৌকাকে জনগণের ভোটে মাধ্যমে সিসিক নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ফিরিয়ে আনলেন। গতকাল বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত কোনো বড় ধরনে কোন সংঘাত ছাড়াই একটানা ভোট গ্রহণ চলে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবেই সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু ভোট গ্রহণের সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত থাকলেও কয়েকটি কেন্দ্রের ভেতরে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন থাকায় বিকাল ৪টার পরে ভোট গ্রহণ সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত ভোট চলছিল। পরে সাড়ে ৪টার পর শুরু ভোট গননা শেষে ফলাফল পর্যন্ত হয়। এতে বেসরকারি ভাবে পাওয়া ফলাফলে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সবটিতেই, যেমন- ১৯০টি কেন্দ্রে ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৬১৪। তাঁর নিকতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩২১টি। ৬৮ হাজার ২৯৩ ভোটের ব্যবধানে বিজয় লাভ করেছেন আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।নতুন করে ১৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড বেড়েছে। বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে সিসিকের পঞ্চম এই নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাড়ালেন, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী! এ নির্বাচনকে ঘীরে পুরো সিলেট চতুর দিকে নিরাপত্তার আাদরে ঢাকা ছিল। বৃষ্টির কারণে ভোটাররা কেন্দ্রে এসে ভোট দিতে পারেন নি। খুজ নিয়ে আরো জানাযায় সব কটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার আওতাধীনে ছিল। এতে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য ১০ প্লাটু বিজিবি। এবং র্যাব ও পুলিশের স্ট্রাইটি ফোর্স, আনসার সদস্যরা। এছাড়া
৪২টি ওয়ার্ডে ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট, যেকোন অপরাধের বিচারকাজের জন্য ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট এবং সিসি ক্যামেরা ১৭৪৭টি। এটা আবার তদারকি করা হয় ইসির প্রধান কার্যালয় থেকে। ফলাফল ঘোষনার পর পরই শুরু হয় পুরো সিলেট জুড়ে আনন্দ মিছিল সহ মিষ্টিমূখ করানো হয়। নতুন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দেশ; বিদেশের সকলের কাছে কৃতঙ্গতা জানান।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন