জিবিনিউজ24ডেস্ক//
মদ খেয়ে মাতলামি করছিলেন এক যুবক, হাতে ছিল একটি ব্যাগ। রাস্তায় মাতলামি করায় ওই যুবককে থামিয়ে ব্যাগ চেক করে পুলিশ। আর যখনই ব্যাগটি খোলা হয়, তখনই চমকে যান পুলিশ সদস্যরা। কারণ এর ভেতর তারা খুঁজে পান মানুষের মমি!
লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুর পুনো শহরে ঘটেছে এমন উদ্ভুত ঘটনা। যে যুবকের ব্যাগে মমি পাওয়া গেছে, তার বয়স ২৩-২৬ বছর হবে। আর তিনি ডেলিভারি ম্যানের কাজ করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ওই যুবক পুলিশকে জানিয়েছে, মমিটি দীর্ঘদিন তার কাছে আছে এবং এটিকে নিজ রুমেই রাখতেন তিনি। এছাড়া মমিটিকে নিজের ‘আধ্যাত্মিক প্রেমিকা’ হিসেবে ভাবতেন এবং এটির নাম দিয়েছিলেন ‘জুয়ানিতা।’
পুলিশ জানিয়েছে, যুবকটি জানিয়েছে, নিজের বাবার কাছ থেকে মমিটি পেয়েছেন তিনি। কিন্তু তার বাবার কাছে এটি কিভাবে এসেছিল সেটি জানাতে পারেননি।
মমিটি নিজের বন্ধুদের দেখাতে ব্যাগ করে নিয়ে যাচ্ছিলেন বলে দাবি করেছেন আটক যুবক।
তবে ওই যুবক মমিটিকে নারী ভাবলেও এটি আসলে একটি পুরুষের দেহাবশেষ বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের ধারণা এটি ৬০০ থেকে ৮০০ বছর পুরোনো হবে। এছাড়া মমিকৃত এ ব্যক্তি ৪৫ বছর বয়সে মারা গিয়েছিলেন বলে ধারণা করা হয়। মমিটির উচ্চতা ছিল ৪ ফুট ১১ ইঞ্চি।
যুবকের কাছ থেকে উদ্ধারের সময় মমিটিতে ব্যান্ডেজ পেঁচানো ছিল। যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, এটি প্রাক-হিস্পানিক যুগের মমি।
পেরুতে প্রাচীন আমলে মমি করার প্রচলন ছিল। কিছু মমিকে কবরস্থ করা হয়েছে। আবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সময় কিছু মমি বের করে সেগুলো নিয়ে রাস্তা প্রদক্ষিণ ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হতো।
মাতাল ওই যুবকের কাছ থেকে উদ্ধারকৃত মমিটি পেরুর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অপরদিকে পেরুর প্রাচীন নিদর্শন নষ্টের অভিযোগে ওই যুবকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন