জিবিনিউজ24ডেস্ক//
দু’বার অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েও কর্মক্ষমতা কমেনি ভারতীয় নৌ বাহিনীর বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্যের। কর্নাটকের কারওয়ার বন্দরে প্রয়োজনীয় মেরামতি ও আধুনিকীকরণের কাজ এখন শেষের দিকে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ৩০ জানুয়ারি আবারও সমুদ্রে ভাসতে পারে বিক্রমাদিত্য। শুরু হবে ‘সি ট্রায়াল পর্ব’।
ভারতীয় নৌ বাহিনীর অন্য বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্তেরও এখন চূড়ান্ত সি ট্রায়াল চলছে। এই দুই যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বলয়ে কৌশলগত ভাবে নয়াদিল্লির অবস্থান মজবুত করবে। বর্তমানে বিক্রমাদিত্যে রুশ যুদ্ধবিমান মিগ-২৯কে ব্যবহার করা হয়। ইতোমধ্যে বিমানবাহী রণতরীটির জন্য আরও আধুনিক নৌ-যুদ্ধবিমান কিনতে সক্রিয় হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। সূত্রের খবর, ফরাসি রাফাল-এম অথবা যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৮ কেনা হতে পারে।
গত বছর জুলাই মাসে কারওয়ার বন্দর ছেড়ে সমুদ্রযাত্রার সময় বিক্রমাদিত্যে আগুন লাগে। আগুন নেভাতে গিয়ে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় এক নৌসেনা অফিসারের। ওই ঘটনার পরেই বিক্রমাদিত্যের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হয়। তারও আগে ২০১৯ সালের এপ্রিলে কারওয়ার বন্দরে ঢোকার মুখে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়েছিল আইএনএস বিক্রমাদিত্য। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল নৌসেনার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ডিএস চৌহানের।
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে রাশিয়া থেকে ২৩০ কোটি ডলারে (প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা) বিমানবাহী রণতরীটি কিনেছিল ভারত। ২০১৮ সালে বিমানবাহী এই যুদ্ধজাহাজে মেরিন হাইড্রলিক সিস্টেম বসানো হয়। এর ফলে অনেক সহজে এই রণতরী থেকে যুদ্ধবিমান ওঠানামা করতে পারে। ২৮৪ মিটার লম্বা ও ৬০ মিটার চওড়া এই যুদ্ধজাহাজটি ২০ তলা বাড়ির সমান উঁচু। ওজন ৪০ হাজার টন। বিক্রমাদিত্যের ডেকে ৩০টি যুদ্ধবিমান এবং ৬টি হেলিকপ্টার রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন