ডিএনএ সম্পাদনায় নতুন প্রযুক্তি, রসায়নে নোবেল পেলেন ২ নারী

 জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

ডিএনএ সম্পাদনার নতুন একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য এ বছর রসায়নে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের দুজন বিজ্ঞানী। তারা হলেন- ফ্রান্সের এমানুয়েল চারপেনটায়ার ও যুক্তরাষ্ট্রের জেনিফার এ দোনা।

বুধবার (৭ অক্টোবর) রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস ওই দুই রসায়নবিদের নাম ঘোষণা করে। এ বছর যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পাওয়া দুজনই হলেন নারী। দুইজন পুরস্কারটির অর্ধেক অর্ধেক করে পেয়েছেন।

 

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জিনোম এডিটিং বা জিনোম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের একটি পদ্ধতি বিকাশে অবদানের জন্য এমানুয়েলে কার্পেন্তিয়ের ও জেনিফার এ. দোদনাকে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

জিনোম বলতে কোনো জীবের সামগ্রিক ডিএনএকে বোঝায়। জিনোম থেকে ডিএনএ আলাদা করার উপায়কেই জিনোম এডিটিং বলে। সেটার আবার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। এরমধ্যে একটি পদ্ধতির বিকাশে অবদান রেখেছেন এ দুই নোবেলজয়ী নারী বিজ্ঞানী।

এমানুয়েলে কার্পেন্তিয়ের ফরাসি নাগরিক। তার জন্ম ১৯৬৮ সালের ১১ ডিসেম্বর। এছাড়া জেনিফার এ. দোদনা মার্কিন নাগরিক। ওয়াশিংটন ডিসিতে ১৯৬৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি তার জন্ম। ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়াতে কর্মরত।

বৃহস্পতিবার (০৮ অক্টোবর) সাহিত্যে, শুক্রবার (০৯ অক্টোবর) শান্তিতে এবং আগামী সোমবার (১২ অক্টোবর) অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হবে। এর আগে মঙ্গলবার (০৬ অক্টোবর) পদার্থবিজ্ঞানে এবং সোমবার (০৫ অক্টোবর) চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।

এর আগে জুলাইয়ের শেষের দিকে নোবেল ফাউন্ডেশন জানিয়েছিল, করোনা ভাইরাসের কারণে এবার ডিসেম্বরে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার রাজকীয় অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। তবে নোবেলজয়ীরা তাদের নিজ নিজ দেশে বসেই ওয়েবিনারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারবেন

১৮৯৫ সালের নভেম্বর মাসে আলফ্রেড নোবেল নিজের মোট উপার্জনের ৯৪% (৩ কোটি সুইডিশ ক্রোনার) দিয়ে তার উইলের মাধ্যমে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেন। এই বিপুল অর্থ দিয়েই শুরু হয় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান। ১৯৬৮ সালে তালিকায় যুক্ত হয় অর্থনীতি। পুরস্কার ঘোষণার আগেই মৃত্যুবরণ করেছিলেন আলফ্রেড নোবেল। আইনসভার অনুমোদন শেষে তার উইল অনুযায়ী নোবেল ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। তাদের ওপর দায়িত্ব বর্তায় আলফ্রেড নোবেলের রেখে যাওয়া অর্থের সার্বিক তত্ত্বাবধান করা এবং নোবেল পুরস্কারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা করা। বিজয়ী নির্বাচনের দায়িত্ব সুইডিশ অ্যাকাডেমি আর নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে ভাগ করে দেওয়া হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন