করোনার কারণে একদিকে আয় কমেছে, অন্যদিকে ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে সকল ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের মুখের হাসি চলে গেছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, স্বল্প আয়ের এসব মানুষের হাসি-কান্না অনেকটাই নির্ভর করে নিত্যপণ্যের মূল্যের ওপর। মূল্য কম থাকলে তারা পেটভরে দু’মুটো খেতে পারেন। মূল্য লাগামছাড়া হলে অনেক সময় না খেয়ে কাটাতে হয় তাদের।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে হঠাৎ করেই বেড়ে যায় পিয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে শতটাকা ছুয়েছে, বৃদ্ধি পেয়েছে ভোজ্যতেল ও চালের মূল্য। এ ছাড়া সবজির দাম প্রতি সপ্তাহে বেড়েই চলেছে। পাশাপাশি বেড়েছে ডালের দামও। এসব কিছু নিয়ন্ত্রনের কেউ আছে বলে দেশবাসী জানে না।
নেতৃদ্বয় বলেন, বাজারে আগুন জ্বলছে। সত্যিই যেন কাঁচাবাজার, মাছের বাজারসহ সব জায়গায় জ্বলছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির আগুন। পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, চালসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ছে দ্রæতগতিতে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বাড়তি দাম। সেপ্টেম্বর মাস থেকেই কার্যকর হয়েছে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের নতুন মুল্য। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সাধারণ মানুষের শ্রমের মূল্য তো বৃদ্ধি পায় নাই। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো, এই অস্থিতিশীল অবস্থা নিরসনে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া বাজারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।
তারা আরো বলেন, দুর্নীতির পর নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা ও উদাসীনতা দেশবাসীকে হতাশ করেছে। দ্রব্যমূল্যের বাজারকে অসহনীয় করার জন্য দায়ী সরকারের ব্যর্থ মন্ত্রীরাই। তারা ব্যবসায়ীদের অসৎ সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে ব্যর্থ হয়েছে। দলীয় ব্যবসায়িদের সিন্ডিকেট না ভাঙতে পারলে এবং টিসিবিকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।
নেতৃদ্বয় বলেন, চলমান দু:সহ অবস্থা থেকে জনগণকে রক্ষার জন্য অবিলম্বে সককল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পক্ষের শক্তি, গণতন্ত্রমনা প্রগতিশীল দলের সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নাই।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন