ফকিরহাটের কাবিটা প্রকল্পের কাজ এখন দৃশ্যমান এসডিজি বাস্তবায়নে তারা আরো একধাপ এগিয়ে

gbn

পি কে অলোক,ফকিরহাট//

বাগেরহাটের ফকিরহাটে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (টাকা) কর্মসূচির “কাবিটা প্রকল্পের” উন্নয়ন মুলক কাজ এখন দৃশ্যমান হচ্ছে। ফলে এ উপজেলা এসডিজি বাস্তবায়নে আরো একধাপ এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। সরকারের ৪১সালের যে ভিশন তা বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসন স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে কাজ গুলি সুসম্পন্ন করছে। যে কারণে কাবিটা প্রকল্পের উন্নয়ন মুলক কাজ গুলি আজ দৃশ্যমান হওয়ার পাশাপাশি তা এখন জনকল্যানেও সহায়ক হচ্ছে। এ ধারা অব্যহত রাখতে পারলে সরকারের ৪১সালের যে ভিশন তা এ উপজেলাতে অচিরেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। জানা গেছে, ২০২১-২২অর্থ বছরে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (পিআইও) অফিস থেকে বেতাগা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চাকুলী আশ্রায়ন প্রকল্পের পার্শ্বে প্রস্তাবিত মুজিব কেল্লাই যাওয়া-আসার জন্য একটি বিলীন হয়ে যাওয়া কাচা রাস্তা নির্মানের জন্য ২লক্ষ ৩৭হাজার ৮শত টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। যে রাস্তাটি মাত্র ২০দিনে সুসম্পন্ন করা হয়েছে। ঐ রাস্তাটি লম্বা ৪৫০ফুট, চওড়া ৩১ফুট এবং সাড়ে ৫ফুট উচ্চতা সম্পন্ন করা হয়েছে। এত কম টাকায় এত ভাল কাজ করা যায়, তা নিজে চোখে না দেখলে অনুধাবন করা সম্ভব হবে না। শুধু তাই নয়, রাস্তা নির্মাণ করেই প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি সদস্য শেখ লুৎফার রহমান (কালা) ক্ষ্যান্ত হয়নী, তিনি নিজস্ব অর্থায়নে কাচা রাস্তাটিকে টেকসই করার জন্য তার দু’পার্শ্বে বিপুল পরিমানে সজিনার ডাল রোপন করেছেন। যা সত্যিই দৃশ্যমান। সরকারের ৪১সালের যে ভিশন তা কতটা বাস্তবায়ন হচ্ছে তা এখানে আসলে বুঝা যাবে। এছাড়া পিলজংগ ইউনিয়নের ২নং বৈলতলী ওয়ার্ডের তেলীর পুকুর পাকা রাস্তার মাথা হতে আফজাল ঢালীর বাড়ি পর্যন্ত কাচা রাস্তা পূনঃ মেরামত প্রকল্প। মাত্র ৬টন ৬শত ৮২ কেজি চাউল বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছিল প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম হাওলাদারকে। তিনি ২হাজার ফুট লম্বা ১২ফুট চওড়া এবং গড়ে আড়াই ফুট উচ্চতা সম্পন্ন রাস্তাটি নির্মাণ করেছেণ। যা দৃশ্যমান হয়েছে। শুধু তাই নয়, লখপুর ইউনিয়নের খাজুরা ২নং ওয়ার্ডে মহির বাড়ী হইতে উত্তরপাড়া জামে মসজিদ হয়ে ইদ্রিস এর বাড়ী পর্যন্ত কাচা রাস্তা পূনঃ নির্মাণ যা ১২শত ফুট লম্বা, ১০ফুট চওড়া এবং গড়ে ৩ফুট উচ্চতা সম্পন্ন মাটি ভরাট করা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পের সভাপতি মোঃ কবির মোড়ল সেই রাস্তার প্রবেশ দ্বারে প্রায় সাড়ে ৪শত ফুট ইটের সলিং নির্মান করেছেন। এখানে মোট বরাদ্ধ ছিল, ১লক্ষ ৯৪হাজার টাকা। একই ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ভট্টখামার আলমগীর শেখের বাড়ী হইতে মধুসুধন ঘোষের বাড়ীর সামনে দিয়ে শ্রীবাস ঘোষের বাড়ী পর্যন্ত কাচা রাস্তায় মাটি ভরাট করেছেন, প্রকল্পের সভাপতি মোঃ হারুন অর রশিদ। তিনি ৮টন ৩শত কেজি গমের বরাদ্ধে উক্ত কাজ করেছেন। তিনি প্রায় ১২শত ফুট লম্বা ও ১০ফুট চওড়া একটি বিলীন হওয়া রাস্তা পুনঃ নির্মাণ করেছেন। অপর দিকে পাগলা দেয়াপাড়া কালিতলা মন্দিরে যাওয়ার একমাত্র কাচা রাস্তায় মাটি ভরাট করা হয়েছে। কালিতলা রাস্তাটি ৪টন ৩শত ১৪কেজি চাউল বরাদ্ধে প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি সদস্য মোঃ মোস্তাকিন বিল্লাহ একাজটি করেছেন। স্বল্প টাকা বা গম এবং চাউলের বিনিময়ে এত সুন্দর কাজ করা হয়েছে। যা নিজে চোখে না দেখলে অনুধাবন করা যাবেনা। কাজের বিনিময়ে খাদ্য (টাকা) কর্মসূচির “কাবিটা প্রকল্পের”কাজ এত ভাল হবে তা কখনো কল্পনাও করা যায়নী। ফকিরহাট উপজেলায় “কাবিটা প্রকল্পের”কাজ এখন দৃশ্যমান হচ্ছে। বেতাগা ইউনিয়নের চাকুলী গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা কবির শেখ, মুজিবুর রহমান, শিল্পি বেগম ও ফাতেমা বেগম সহ একাধিক ব্যক্তিরা বলেছেন, মুজিব কেল্লায় যাওয়ার জন্য যে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে, তা পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ীবাধ নির্মানের মত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড টেন্ডারের মাধ্যমেও এত ভাল কাজ করতে পারতোনা। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে অর্থের সঠিক ব্যাবহার করা হলে সব অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সাইদা দিলরুবা সুলতানা’র সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, আমরা ২০২১- ২২অর্থ বছরে এ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (টাকা) কর্মসূচির “কাবিটা প্রকল্পের”কাজ মোট ৬১টি প্রকল্পের মাধ্যমে করতে সক্ষম হয়েছি। যা দৃশ্যমান হয়েছে। আমরা আগামীতে যাহাতে কাজ গুলি এর চেয়ে আরো সুন্দর ও ভাল হয়, সেই লক্ষ্য মাথায় নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাচ্ছি। তবে জনবল সংকটের কারণে আমাদের যে লক্ষ্য তা বাস্তবায়নে বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা বেগম বলেন, আমি পিলজংগ, বেতাগা ও লখপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি প্রকল্পে নিজে গিয়েছি, এবং কাজ গুলি সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখেছি কাজ গুলি সত্যিই খুব ভাল হয়েছে। অন্যান্য উপজেলার তুলনায় ফকিরহাটের কাজ গুলি ভাল ও দৃশ্যমান হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ স্বপন দাশ এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন, আমরা মুলত টেকসই ও উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা পূরনে কাজ করছি। চাকুলীর মুজিব কেল্লাই যাওয়া-আসার যে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়েছে, তা ভাল হয়েছে। আমরা ৪১সালে সরকারের যে ভিশন তার বাস্তবায়ন করার জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এ ধারা অব্যাহত রাখলে সরকারের ৪১সালের যে ভিশন তা এ উপজেলাতে অচিরেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। ##

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন