বাগেরহাটে শরণখোলায় ঝুঁকিপুর্ন ভাবে চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যাবসা! নিরব রয়েছে প্রসাশন


শেখ সাইফুল ইসলাম কবির :বাগেরহাটের শরনখোলায় লাইসেন্স ও অগ্নি-নির্বাপক ব্যাবস্থা ছাড়াই অত্যন্ত ঝুঁকিপুর্ন ভাবে চলছে (এল পিজিসি) গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যাবসা। উপজেলা সদর ছাড়াও সুন্দরবন সংলগ্ন হাট বাজার গুলোতেও অনিরাপদ ভাবে প্রসাশনের চোখের সামনে অবাধে বিক্রি হচ্ছে এ জ্বালানী। নিয়ম নিতীর তোয়াক্কা না করে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যাবসায়ীরা কেবল মাত্র একটি ট্রেড-লাইসেন্স নিয়েই চালাচ্ছে এ অবৈধ গ্যাস ব্যাবসা।

ব্যাঙের ছাতার মতো উপজেলার সর্বত্র অবৈধ গ্যাস ব্যাবসা ছড়িয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন সচেতন মহল। তাছাড়া অত্যন্ত খোলামেলা ভাবে গ্যাস বিক্রির ফলে চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করতে হচ্ছে ক্রেতা ,পথচারী ও শিক্ষার্থী সহ স্থানীয় বাসিন্দাদের। নিয়ম বর্হিভুত গ্যাস ব্যাবসার ফলে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংঙ্কা করছেন তারা। এছাড়া অসাধু ব্যাবসায়ী চক্র সরকার নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে গ্যাস বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, লাইসেন্স ছাড়া উপজেলা সদরের রায়েন্দা , রাজৈর ও পাঁচরাস্তা এলাকার ব্যাবসায়ী সবুজ খলিফা, হুমায়ুন কবির, আলী হোসেন, আঃ রহিম গাজী , আলতাফ হোসেন , আকাদুল , সবুজ , সাইয়েদ হাওলাদার , ফজলুল হক জোমাদ্দার , মিন্টু মোল্লা , নারায়ন কর্মকার , ওলি মিয়া , নুর হোসেন , লোকমান হোসেন ,দুলাল , স্বপন , ওমর ফারুক , কামাল হাওলাদার , সাইফুল , আফজাল হাওলাদার , মজিবর তালুকদার , লতিফ হাওলাদার , শহিদুল ইসলাম, রিয়াদুল ইসলাম, ইব্রাহীম তালুকদার, মুন্না ও ফেরদৌসি সহ অনেক ব্যাবসায়ী অবৈধ গ্যাস ব্যাবসা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে ।

অপরদিকে ,আমড়াগাছিয়া রাজাপুর, ছুটুখার বাজার ,পল্লীমঙ্গল , পহলান বাড়ী, খোন্তাকাটা, বানিয়াখালী, তাফালবাড়ী , চালিতাবুনিয়া, শরনখোলা, সোনাতলা , রসুলপুর ও বাংলা বাজার সহ সুন্দরবন সংলগ্ন মফস্বলের বিভিন্ন হাট বাজারেও কোন প্রকার লাইসেন্স ছাড়া দেদারছে গ্যাস বিক্রি করছেন ব্যাবসায়ীরা । চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মুদি, মনোহারী, কসমেটিস , পেট্রোল .মবিল, ওষুধ সহ ইলেট্রনিস্ক দোকানেও বিক্রি হচ্ছে গ্যাস সিলিন্ডার । এক শ্রেনীর মুনোফা লোভী ব্যাবসায়ীরা সরকারী নিয়ম নিতীর প্রতি বৃদ্ধা আঙ্গুলী প্রদর্শন করে বছরের পর বছর এ অবৈধ গ্যাস ব্যাবসা চালালেও নির্বিকার রয়েছে প্রসাশন ।

উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজারের কয়েক জন ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন ,গ্যাস ব্যাবসায়ীদের একটি চক্র সিন্ডিকেট করে সাধারনের কাছ থেকে অতিরিক্ত মুল্য হাতিয়ে নিচ্ছে । ১৮৮৪ সালের বিস্ফোরক আইন অনুযায়ী এলপিজিসি গ্যাস (রুলস) ২০০৪ এর ৬৯ ধারার (২) এর বিধি অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া কোন ভাবে গ্যাস মজুদ করা বা বিক্রি নিষিদ্ধ। এছাড়া একই বিধির (৭১) ধারা অনুসারে গ্যাস বিক্রির দোকান গুলোতে যথেষ্ট পরিমান অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জাম থাকতে হবে।

তবে, সচেতন মহল মনে করেন , স্থানীয় প্রসাশন সহ বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে কোন অভিযান না থাকায় খোলা মেলা ভাবে অবৈধ ভাবে গ্যাসের রমরমা ব্যাবসা চালাচ্ছেন অসাধু ব্যাবসায়ীরা। তবে, অসাধু ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য প্রসাশন সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল। এ ব্যাপারে রায়েন্দা বাজারের ব্যাবসায়ী গ্যাস বিক্রেতা মাওঃ এনামুল হক বলেন, আমার লাইসেন্স আছে। তবে , বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়া গ্যাস বিক্রির কোন নিয়ম নাই। অবৈধ গ্যাস ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে কয়েক মাস পুর্বে আমি বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছিলাম।

কিন্ত তাতে কিছুই হয়নি। আসলে ব্যাবসায় এখন আর কোন নিতী মালা নেই। এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীনের মুঠোফোন একাধিক বার কল করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন