যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের আগমন উল্লেখযোগ্যহারে কমে গেছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ঘিরে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের চলমান জটিলতার কারণে এই সংকট দেখা দিয়েছে বলে মনে করছেন হায়দরাবাদের শিক্ষাবিষয়ক পরামর্শদাতারা। তাদের মতে, গত বছরের তুলনায় এবার বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ৭০ শতাংশ কমে গেছে।
মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্লট ফ্রিজ থাকা এবং হঠাৎ করে ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার বেড়ে যাওয়া এই পরিস্থিতির মূল কারণ।
হায়দরাবাদের ওভারসিজ কনসালটেন্ট-এর প্রতিনিধি সঞ্জীব রায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এই সময়ের মধ্যে সাধারণত বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর ভিসা ইন্টারভিউ হয়ে যায় এবং তারা যাওয়ার প্রস্তুতি নেয়। এবার আমরা প্রতিদিন ওয়েবসাইট রিফ্রেশ করছি একটা স্লট খোলার আশায়। এটা গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ভিসা স্লট পর্যায়ক্রমে ছাড়া হবে। কিন্তু বাস্তবে স্পষ্টতা নেই বলে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা। কেউ কেউ স্লট বুক করেও কনফার্মেশন পাচ্ছেন না। অঙ্কিত জৈন নামের একজন কনসালটেন্ট বলেন, হয়তো সিস্টেম টেস্টের জন্যই এমনটি হচ্ছে।
এমন সংকটে ভারতের অনেক শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে আবেদন বাতিল করে জার্মানি, কানাডা বা ইউরোপ এর দিকে ঝুঁকছেন।
২৩ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি আর অপেক্ষা করতে পারছিলাম না। সম্ভবত পুরো এক বছর নষ্ট হয়ে যাবে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে এটাই শেষ, তাই আমি আমার আবেদন তুলে নিয়েছি।
কনসালটেন্ট অরবিন্দ মন্দুভা বলেন, যদি আগামী কয়েকদিনে নতুন স্লট না ছাড়া হয়, হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ভেঙে যাবে। প্রতিদিনই ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের আতঙ্কিত কল পাচ্ছি।
মার্চে যারা আবেদন করেছেন এবং ইন্টারভিউয়ের সময় পেয়েছেন তাদের মধ্যেও অনেকেই এবার ভিসা পাচ্ছেন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কোনো নেতিবাচক কিছু না থাকলেও তারা প্রত্যাখ্যাত হচ্ছেন।
গত বছর ভারত চীনকে পেছনে ফেলে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছিল। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ১১.৬ লাখের বেশি ভারতীয় শিক্ষার্থী বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিচ্ছেন, যার মধ্যে ইউরোপ গন্তব্য হিসেবে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন