তারকা-সন্তানদের মাদকাসক্তি

gbn

জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //

মাদকাসক্তি যেন বলিউড ইন্ডাস্ট্রির ‘ওপেন সিক্রেট’। বিশেষ করে অনেক তারকা-সন্তানই বখে যাওয়াদের দলে ভিড়েছেন। শাহরুখ খানপুত্র আরিয়ানদের আগের প্রজন্মের অভিনেতাদের মধ্যেও এমন দৃষ্টান্ত রয়েছে।

ক্যারিয়ারের একটা পর্যায়ে তাঁরা গণমাধ্যমের সামনে সে কথা অকপটে বলেছেনও। সঞ্জয় দত্ত, রণবীর কাপুর, অর্জুন কাপুর, ফারদিন খান, প্রতীক বাব্বর—প্রত্যেকেই তারকা-সন্তান। মদ, ধূমপান ও মাদক—তিনটিরই নেশা ছিল ঋষি কাপুরপুত্র রণবীরের। নিজের চেষ্টাতেই তিনি মাদক ও ধূমপানের নেশা থেকে মুক্তি পেয়েছেন।

 

১৩ বছর বয়সেই মাদকের জালে জড়িয়েছিলেন স্মিতা পাতিল-রাজ বাব্বরপুত্র প্রতীক। তাঁকে রিহ্যাব সেন্টারেও থাকতে হয়েছিল। মায়ের ক্যানসার, সৎমাকে মেনে নিতে না পারা, ব্যক্তিজীবনের টানাপোড়েনে মাদকেই সান্ত্বনা খুঁজেছেন বনি কাপুরপুত্র অর্জুন। ফিরোজ খানপুত্র ফারদিন তো মাদক নিয়ে ক্যারিয়ারটাই ধ্বংস করে দিলেন।

তারকা-সন্তানদের এই মাদকাসক্তি কেন? অনেকে মনে করেন বলিউড কিংবদন্তি মা নার্গিস দত্তের মৃত্যুর জন্য সঞ্জয় দত্ত মাদকাসক্ত হয়েছেন। কিন্তু সঞ্জয় নিজেই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘এই ধারণা ভুল। এগুলো স্রেফ অজুহাত। কেউ নিজে থেকে না চাইলে তাঁকে জোর করে মাদকাসক্ত করা যায় না। তবে, একবার আসক্ত হয়ে গেলে সেখান থেকে বের হয়ে আসা কঠিন। আমার মাদকাসক্তির যাত্রাটা ১২ বছর লম্বা। পৃথিবীতে এমন কোনো মাদক নেই, যার সংস্পর্শে আমি আসিনি।’

গত বছর সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অকালপ্রয়াণ এবং সেই ঘটনার কারণে বলিউডে মাদক নিয়ে নানা তথ্য সামনে আসে। সেই আলোচনায় নতুন গতি আসে শাহরুখ খানের বড় ছেলে আরিয়ানের গ্রেপ্তারের পর। গত বছরই এই মাদক গ্রহণের তালিকায় উঠে আসে সারা আলী খান, শ্রদ্ধা কাপুরদের নাম। বলিউডে সদ্য পা রাখা আরও কিছু তারকা-সন্তানের নামও বিভিন্ন সময়ে এই সূত্রে উঠে এসেছে।

কখনো বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করে ফেরার পথে ছবি-শিকারিদের নজরে পড়েছেন তাঁরা, কখনো বা কোনো পার্টি থেকে মুখে মুখে রটেছে তাঁদের নাম। তাঁদের আসক্তির কথা প্রকাশ্যে এলে ক্ষতি দুই রকমের। একদিকে ক্যারিয়ার শুরুর আগেই জনমনে নেতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হয়। অন্যদিকে তাঁদের মা-বাবার পেশাগত জীবনেও আঁচড় পড়ে।

সঞ্জয় দত্তের কথা দিয়েই শেষ করা যাক, ‘আমি আমার পরিবারের জন্য মাদক ছাড়িনি। আমি ছেড়েছি, কারণ আমিই চেয়েছিলাম বের হয়ে আসতে। ওই জীবনটা আমি চাইতাম না। যখন পুনর্বাসন শুরু হলো, তখন শরীরে অনেক সমস্যা হতো। সবচেয়ে কষ্ট ছিল নিজের মনকে বোঝানো। নিজের ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগানোর কোনো বিকল্প নেই। আমি তরুণদের বলব, জীবনটা উপভোগ করো, নিজের কাজকে ভালোবাসো, পরিবারকে ভালোবাসো।’

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন