যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে ‘খাদ্য কেন্দ্র’ স্থাপন করবে যুক্তরাষ্ট্র, যাতে ক্ষুধার্ত মানুষেরা সহজে খাদ্য সহায়তা পেতে পারে।
সোমবার (২৮ জুলাই) স্কটল্যান্ডে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, আমরা খাদ্য কেন্দ্র স্থাপন করবো, যেখানে মানুষ হেঁটে এসে খাবার নিতে পারবে—কোনো সীমানা বা বেড়া থাকবে না।
ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে ছয় কোটি ডলারের মানবিক সহায়তা দিয়েছে এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি আশ্বস্ত হয়েছেন, ইউরোপীয় দেশগুলোও তাদের সহায়তা ‘বহুলাংশে বাড়াবে’।
স্টারমারও বলেন, এই মুহূর্তে গাজায় যে অবস্থা চলছে তা এক মানবিক বিপর্যয়। ব্রিটিশ জনগণ যা দেখছে, তাতে তারা স্তম্ভিত। তিনি বলেন, গাজায় দ্রুত খাদ্য সহায়তা পৌঁছাতে হবে এবং এর জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
ট্রাম্প আরও বলেন, এটা এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। মানুষকে এখনই খাদ্য ও নিরাপত্তা দিতে হবে।
এদিন দুই নেতাই গাজায় ‘যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার’ কথা স্বীকার করেন। তবে ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিরতি সম্ভব, কিন্তু সেটা পেতে হবে। শেষ করতে হবে।
তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, হয়তো তাদের ‘কৌশল পরিবর্তন করা প্রয়োজন।’
ট্রাম্প বলেন, তিনি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা নিয়ে এখনই কোনো অবস্থান নিচ্ছেন না।
ট্রাম্প অভিযোগ করেন, হামাস জীবিত ও মৃত জিম্মিদের মুক্তি দিতে রাজি হচ্ছে না। যদিও হামাস জানিয়েছে, তারা একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় জিম্মিদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত।
সম্প্রতি দোহায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় হামাস যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত একটি প্রস্তাবে সাড়া দিলেও ইসরায়েল তার প্রতিনিধি দল প্রত্যাহার করে নেয়।
গাজায় চলমান মানবিক সংকটের প্রেক্ষাপটে সোমবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৪ জন মানুষ অনাহার ও অপুষ্টিতে মারা গেছেন। এ নিয়ে যুদ্ধকালীন সময়ে ক্ষুধা-সংক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৭ জনে, যাদের মধ্যে ৮৯ জন শিশু।
জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েল যে সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে, তা ‘দুর্ভিক্ষ-সদৃশ’ পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত নয়।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন