ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার আগ মুহূর্তে বিমানটির দুটি ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহের সুইচ বন্ধ হয়ে যায়। এই সুইচ দুটি বন্ধ হলে তাৎক্ষণিক ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ককপিটে পাইলটদের মধ্যে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছিল বলে জানা গেছে।
শনিবার সকালে ভারতের বিমান দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরোর প্রকাশ করা প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিমানটি উড্ডয়নের কিছু সময় পরেই দুটি ইঞ্জিনের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচ ‘রান’ (চালু) থেকে ‘কাটঅফ’ (বন্ধ) অবস্থানে চলে যায়। এ সময় একজন পাইলট অন্যজনকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কেন জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন। জবাবে দ্বিতীয় পাইলট বলেন, তিনি বন্ধ করেননি।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, উড়োজাহাজটি তার সর্বোচ্চ গতি অর্জনের পর এ সেকেন্ডের ব্যবধানে দুটি ইঞ্জিনের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
সঙ্গে সঙ্গে বিমানটি নিচে নামতে শুরু করে। এরপর সুইচগুলো আবার চালু অবস্থায় ফিরে আসে এবং ইঞ্জিন চালু হয়। ততক্ষণে একজন পাইলট নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জরুরি অবস্থার বার্তা পাঠান।
বোয়িং ৭৮৭ এ জ্বালানি সরবরাহের সুইচটি কাটঅফ নামে পরিচিত।
এটি দুই পাইলটের আসনের মাঝে এবং থ্রোটল লিভারের নিচে থাকে। এগুলো একটি ধাতব দণ্ড দ্বারা সুরক্ষিত থাকে এবং ভুলক্রমে যেন বন্ধ না হয়ে যায় তাই সেখানে লকিং সিস্টেম রাখা আছে।
মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঠিক কার ভুলে ঘটেছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি তদন্তকারীরা। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন আসতে আরো কয়েক মাস কিংবা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত মাসে ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ বিমানটি একটি মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রাবাসে বিধ্বস্ত হয়।
এতে উড়োজাহাজে থাকা ২৪২ আরোহীর একজন বাদে বাকি সবাই প্রাণ হারান। এছাড়া ছাত্রাবাসে থাকা আরো ১৯ জন মানুষ প্রাণ হারান।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন