ধর্মীয় অনুভতিতে আঘাত>> রংপুরে পুলিশ-এলাকাবাসী সংঘর্ষে যুবক নিহত, সড়ক অবরোধ-অগ্নিসংযোগ

ফেইসবুকে ধর্মীয় অনুভতিতে আঘাত দিয়ে স্ট্যাটাসের প্রতিবাদে রংপুরের তারাগঞ্জে স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ এবং হিন্দুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করলে পুলিশের সাথে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় হাবিবুর রহমান নামে একজন নিহত এবং আরো ১১জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন হবার খবর পাওয়া গেছে।
পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, জনৈক ব্যক্তি ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভতিতে আঘাত দিয়ে স্ট্যাটাস দিলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ জনতা। প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়।
একপর্যায়ে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে অবরোধকারীদের সরানোর চেষ্টা করে। এতে পুলিশের সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশের গুলিতে ১ নিহত ও ১১ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ আহত হয়।
অপর একটি সূত্র জানায়, ফেইসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে মিছিল নিয়ে হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
রংপুর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজিজুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলায় খলেয়া ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া গ্রামে শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কিছু লোক স্থানীয় টিটু রায়ের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় পাশের ধীরেন রায়ের আরো দুটি বাড়ি পুড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানান তিনি।
এ সময় পুলিশের রাবার বুলেটে মাহাবুবুল, জামিল ও আলিমসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে পরিদর্শক আজিজুল জানান।
ঠাকুরপাড়া গ্রামের পাগলাপীর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মাস্টার বলেন, এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় এক যুবক তার ফেইসবুকে ‘ধর্মীয় অবমাননাকর’ ছবি পোস্ট করেন। মঙ্গলবার ওই যুবককে গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল করে এলাকাবাসী।
পরে তারা পুলিশ সুপারের কাছে গিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার না হওয়ায় দুপুরে তারা আবার বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এসময় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
এর মধ্যেই টিটুর বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে বলে রফিকুল ইসলাম জানান।