বিষধর সাপের কবলে পড়ে মৃত্যেুর বদলে বন্ধু হলাম

সাংবাদিক হাফিজুল হক ||
“রাখে আল্লাহ্ মারে কে”ভেবেছিলাম সাপের কামড়ে হয়তো মারা যাব কিন্ত পরম করুনাময় আল্লাহ্ তালা আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে এজন্য তার প্রতি লাক্ষো-কোটি শুকরিয়া।গত রাত্রি সাপাহার রিপোর্টার্স ফোরাম হতে ফোরামের সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম এর সাথে আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে সোয়া নয় টার সময় বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করি ।সঙ্গে ছিল বিকট শব্দের ৮০ সিসি জনশন নামের একটি মটর বাইক।ভাবনার মধ্যে দিয়ে পদ অতিক্রম করে চলছি,এরই এক পর্যায়ে ওড়নপুর সর্ত্য পীরের মাজারের সন্নিকটে বিশাল আকৃতির বিষধর সাপের মুখোমুখি হয়ে পড়েছি,ভাবনার জগৎ থেকে ফিরে এসেই দেখলাম রাস্তার ঠিক মাঝপদে ফর্ণা তুলে তাকিয়ে আছে সাপটি।পাশ কেটে পার না হইয়া অত্যান্ত দক্ষতার সাথে গাড়ির ব্রেক করলাম তার পরও সামনের চাকা সাপটি অতিক্রম করেছে,ভয় নামে শব্দটি আমার কাছ থেকে কতো দূরে চলে গেছে তা নিজেও জানতে পারিনী । ডান পার্শ্বে তাকাতেই দেখি সাপটি আমার ডান পায়ের কাঁচাকাছি পিচনের চাকার উপর দিকে উঠার চেষ্টা করছে,ভেবে ঠিক করতে পারছিলাম না, কি করবো “নিমিষেই সিদ্ধান্তের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে” কখনো মনে করছি গাড়ি ফেলে দিয়ে দৌড়ে পালাবো আবার ভাবছি জোরে চিৎকার দিব কোন টায় করতে পারলাম না বুকে সাহস জুটে গাড়ি হতে বাপ পার্শ্বে নেমে পড়লাম, না পালিয়ে সিটের উপর দিয়ে অপর প্রান্তে উঁকি মেরে তাকালাম গাড়ির পিচনের বাতিতে ভালই দেখা যাচ্ছিলো দেখলাম সাপটি গাড়ি হতে নেমে ফর্ণা তুলে তাকিয়ে আছে তার ন¤্রতা দেখে আমার বুঝতে বাঁকি রইলোনা সে আমার ক্ষতি নয় বরং সহযোগিতা কামনা করছে ।সাপটির আকূতি-মিনতি দেখে মনে মায়া লেগে গেল আমার । ফলো করলাম সাপটিকে কেউ চাকা দিয়ে কোমড়ে চাঁপা দিয়ে আঘাত করেছে।সাপের মুখোমুখি হলাম তার পরও সে আমাকে কিছুই করলো না, আমার তাৎক্ষনিক মনে পড়লো দুই ঘন্টা পূর্বে ফেসবুকে লায়লা আরজুমান বানুর বন্ধু নামের কবিতা টি যা পড়ে আমি তাকে কমেন্ট করেছিলাম আরজুমান তুমি আমাকে বন্ধু করবে ,আর এখন মনে হচ্ছে এই বিষধর সাপটি আমাকে বন্ধু করার জন্য আরজী জানাচ্ছে। রহস্য জনক হলেও ঘটনাটি বাস্তব সত্য মানুষ মানুষের সাথে কথা বলে আর আমি কথা বলতে লাগলাম বিষধর সাপের সাথে মধ্যে শুরে বললাম এখন হতে আমি তোমার বন্ধু হলাম তুমি আমার বন্ধু তোমার এই বিপদে আমি তোমাকে সাহায্য করিবো কিন্ত তুমি আমাকে দংশন করবা না তো বলা মাত্র সাপটি ফর্ণা বন্ধ করে রাস্তাই শুয়ে পড়লো আর মাথা না শব্দের মত নড়াচ্ছে,তখন আমি বললাম আমাকে কি করতে হবে তোমার কোমর কি নেড়ে দিলে তুমি ভাল হবে সে তখন মাথা খাড়া করে মাজারের দিকে লর্ম্ফ দেয়ার চেষ্টা করলো আমার বুঝতে বাঁকি রইলোনা সাপটিকে মাজারের রিলিং এর নিকট রেখে চলে আসবো ঠিক তখনি সাপটি ফর্ণা তুলে মাথা নিজ মুখে নত করে স্বাগত জানালো। আমার সত্য ঘটনাটি এই পযন্তই শেষ তবে একটু আবেগের কথা লেখছি সাপ হয়ে মাথা নত করে স্বাগত জানালো আর আমরা মানুষের বন্ধু-বান্ধব কে বিপদের দিনে সহযোগিতা করলে তা ভুলে যাই বরং মনে আঘাত দিয়ে থাকি ক্ষতি পর্যন্ত করি – এতে আপনার মতামত কি এক না ভিন্ন তা অবশ্যই জানাবেন।সবার সু-স্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করছি,হাফিজুল হক সভাপতি সাপাহার রিপোর্টার্স ফোরাম,সাপাহার নওগাঁ