লন্ডনে বিজয় দিবসে সংগীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন করল স্বাধিনতা ট্রাস্ট

gbn

আনসার আহমেদ উল্লাহ //

 

বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে লন্ডন ভিত্তিক স্বাধিনতা ট্রাস্ট তাদের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে ‘বাংলা বিটস’ শীর্ষক এক বিশেষ সংগীতানুষ্ঠানের মাধ্যমে। ১৬ ডিসেম্বর কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনে আয়োজিত এই কনসার্টে ব্রিটেনে বাঙালি সংগীতচর্চার ঐতিহ্যকে স্মরণ করা হয়।

 

ঘরোয়া পরিবেশে আয়োজিত এই সংগীতসন্ধ্যার সঞ্চালনা করেন ট্রাস্টি অনিশা চন্দ্রশেখর। অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য যারা লড়াই করেছিলেন, তাঁদের সাহস, দৃঢ়তা ও আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বলেন, তাঁদের বীরত্ব আজও প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে।

 

অনুষ্ঠানের সূচনা করেন হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী ও সংগীত গবেষক বুধাদিত্য ভট্টাচার্য। এরপর সংগীত পরিবেশন করেন যুক্তরাজ্যের সুপরিচিত শিল্পী গৌরী চৌধুরী, লোকসংগীতশিল্পী হাসি রানি এবং বাউল শিল্পী আবদুল শহীদ। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গত করেন বহুমুখী সংগীতজ্ঞ অমিত দে এবং তবলায় ব্রিটেনে জন্ম নেয়া ইয়ামিন চৌধুরী।

 

অনুষ্ঠানের আয়োজক বুধাদিত্য ভট্টাচার্য বলেন, “পূর্ব লন্ডনের  সমৃদ্ধ ও বহুসাংস্কৃতিক ইতিহাস গড়ে উঠেছে অভিবাসীদের অবদানে, বিশেষ করে বিংশ শতকে আগত বাঙালিদের মাধ্যমে। ব্রিটেনে বাঙালিদের ঘরোয়া পরিসরে সংগীতচর্চা ‘স্বদেশ’-এর সঙ্গে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিল, একই সঙ্গে এটি ব্রিটিশ-বাঙালি পরিচয়ের নিজস্ব সুর ও ধ্বনি সৃষ্টির ক্ষেত্রও তৈরি করেছে।” তিনি আরও বলেন, “বাউল, আধুনিক, পল্লি ও রাগা সহ বিভিন্ন ধারার লন্ডনভিত্তিক বাঙালি শিল্পীদের নিয়ে ‘বাংলা বিটস’ আয়োজন করা হয়েছে ব্রিটেনে প্রচলিত ‘আসর’ এর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, এই প্রাণবন্ত ও ঘনিষ্ঠ সংগীতানুষ্ঠানের ধারা গত দুই দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে। এই অনুষ্টান মাধ্যমে আমরা ব্রিটিশ বাঙালি সম্প্রদায়ের মধ্যে ‘আসর’ এর পুনরুজ্জীবনের আহ্বান জানাতে চেয়েছি, একই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক ও ভাষাগত বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিসর তৈরি করতে চেয়েছি, যেখানে স্বাধিনতা ট্রাস্টের ২৫ বছর পূর্তি ও বাংলাদেশের বিজয় দিবস একসঙ্গে উদযাপিত হয়েছে।”

 

অনুষ্ঠানের শেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ট্রাস্টি ভ্যাল হার্ডিং। তিনি বলেন, “স্বাধিনতা ট্রাস্টের পক্ষ থেকে আমাদের সব শিল্পীকে তাঁদের সংগীত ও প্রতিভা ভাগ করে নেওয়ার জন্য, আয়োজক ও স্বেচ্ছাসেবকদের নেপথ্যের কঠোর পরিশ্রমের জন্য এবং এই সন্ধ্যাটি সম্ভব করে তোলার জন্য কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের সেন্টার ফর পাবলিক এনগেজমেন্টকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।”

 

অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে, যেখানে সুদীপ্ত দাসসহ সব শিল্পী একসঙ্গে অংশ নেন।

 

স্বাধিনতা ট্রাস্ট একটি লন্ডন ভিত্তিক কমিউনিটি সংগঠন , যা সংস্কৃতি, কমিউনিটি, শিক্ষা ও সামাজিক ন্যায়ের সংযোগস্থলে কাজ করে আসছে। ইতিহাস, কণ্ঠস্বর ও সৃজনশীল অভিব্যক্তিকে উদযাপন, সংরক্ষণ ও প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এই ট্রাস্ট গড়ে তোলা হয়।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন