টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সেবার মান ও আর্থিক ব্যবস্থাপনার প্রশংসা করেছে এলজিএ

gbn

 

  • ধারাবাহিক উন্নতির প্রতি অঙ্গীকারের জন্য প্রশংসিত হয়েছে কাউন্সিল
  • ২০২৩ সালে দেয়া ১৮ টি সুপারিশের মধ্যে ১৭টিতে অগ্রগতি
  • আউটস্ট্যান্ডিং’ শিশু সেবা, সর্বজনীন ফ্রি স্কুল মিলস, ইউনিফর্ম গ্রান্ট, নতুন ইয়ূথ সেন্টার সহ উচ্চ মানের সেবা প্রদানের স্বীকৃতি
  • একটি স্থিতিশীল ও আরও ঐক্যবদ্ধ শীর্ষ নেতৃত্ব দল
  • বাসিন্দাদের সেরা সেবা প্রদানে নিবেদিত কর্মী

দুই বছর আগে এলজিএ কর্পোরেট পিয়ার চ্যালেঞ্জের দেওয়া সুপারিশগুলি বাস্তবায়নে ‘দৃঢ় আর্থিক ব্যবস্থাপনা’, ‘উচ্চ মানের সেবা’ এবং ‘নিরবচ্ছিন্ন উন্নতির প্রতি অঙ্গীকার’ - এর জন্য টাওয়ার হ্যামলেটসকে প্রশংসা করা হয়েছে।
৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত এলজিএ (লোকাল গভর্নমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন) কর্পোরেট পিয়ার চ্যালেঞ্জ প্রগ্রেস রিভিউটি অক্টোবরে বিশেষজ্ঞদের দুই দিনের পরিদর্শনের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়, যেখানে তারা কী ধরনের অগ্রগতি হয়েছে তা মূল্যায়ন করেন।
২০২৩ সালে, এলজিএ কাউন্সিলের প্রতি ‘বাসিন্দাদের চাহিদা সম্পর্কে বিস্তৃত ধারণা’ থাকার জন্য প্রশংসা করেছিলো। তবে নির্বাচনের পরে নতুন মেম্বার ও কর্মকর্তারা একসঙ্গে কাজ শুরু করার ফলে দ্বিমুখী কাউন্সিল সংস্কৃতির কিছু ইঙ্গিতও পাওয়া যায়।
দুই বছর পর প্রকাশিত এলজিএ-র পর্যালোচনা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘দ্বিমুখী কাউন্সিল সংস্কৃতি (টু-কাউন্সিল কালচার) অথবা আস্থার অভাব - এসব বিষয়ে মানুষ কোনো উদ্বেগ প্রকাশ করেনি।’ প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে কাউন্সিল মেয়রের অফিসের কর্মী সংখ্যা কমিয়ে ৯ জনে এনেছে, ‘যা অন্যান্য মেয়রদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’ প্রতিবেদনে কাউন্সিলের ‘প্রধান নির্বাহীর নেতৃত্বে স্থিতিশীল ও আরও ঐক্যবদ্ধ শীর্ষ নেতৃত্ব দল’ এবং ‘বাসিন্দাদের জন্য সর্বোত্তম ফলাফল নিশ্চিত করতে কর্মী ও সদস্যদের নিবেদন’ এর প্রশংসা করা হয়েছে।
২০২৩ সালের পর্যালোচনার পর, এলজিএ পিয়ার চ্যালেঞ্জ দল কাউন্সিলকে পূরণ করার জন্য ১৮টি সুপারিশ করেছিল। কাউন্সিল সঙ্গে সঙ্গে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে সেগুলো বাস্তবায়ন শুরু করে এবং প্রগ্রেস রিভিউ প্রতিবেদনে এলজিএ জানিয়েছে যে ‘১৮টির মধ্যে ১৭ টি সুপারিশে অগ্রগতি হয়েছে।’
মূল পিয়ার রিভিউ এর পর থেকে, কাউন্সিল মিনিস্টেরিয়াল এনভয়দের সঙ্গে মিলে একটি বিস্তৃত ‘নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা’ (কন্টিনিউয়াস ইম্প্রুভমেন্ট প্ল্যান বা সিআইপি) প্রণয়নে কাজ করেছে। এখন প্রগ্রেস রিভিউ থেকে পাওয়া নতুন অন্তর্দৃষ্টি সিআইপি—এর সঙ্গে যুক্ত করা হবে।

উচ্চ মানের সেবা প্রদান
পর্যালোচনায় বাসিন্দাদের জন্য ‘উচ্চ মানের সেবা প্রদান’ স্বীকৃত হয়েছে, যার মধ্যে জানুয়ারিতে অফস্টেড চিলড্রেন সার্ভিসগুলিকে ‘অসাধারণ’ হিসেবে রেটিং দেওয়া এবং কৌশলগত অগ্রাধিকার বাস্তবায়নে অগ্রগতি রয়েছে, যেমন ‘১৬ বছরের নিচের সকল শিশুর জন্য সর্বজনীন ফ্রি স্কুল মিল চালু করা, সকল শিশুকে স্কুল ইউনিফর্মের জন্য অনুদান দেওয়া এবং বারার প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি ইয়ুথ সেন্টার (যুব কেন্দ্র) খোলা হয়েছে।’
টাওয়ার হ্যামলেটস দেশের একমাত্র স্থানীয় কর্তৃপক্ষ, যা প্রাথমিক স্কুলের পাশাপাশি মাধ্যমিক স্কুলেও ফ্রি স্কুল মিল প্রদান করছে। গত মাসে এটি দুই বছর আগে চালু করা ফ্রি মাধ্যমিক স্কুল মিলের ২০ লক্ষতম খাবার বিতরণ করে।
এছাড়াও এটি লন্ডনে নতুন আবাসন উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। গত মাসে, এর লোকাল প্ল্যান স্বতন্ত্র পর্যালোচনার জন্য স্টেট সেক্রেটারির কাছে জমা দেওয়ার অনুমোদন পেয়েছে। এতে ৫২,০০০ নতুন বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। শুধুমাত্র গত ১২ মাসে, কাউন্সিল ৮,০০০ নতুন বাড়ি নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে।
টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান বলেন, “এই প্রগ্রেস রিভিউ প্রমাণ করে আমরা দুই বছরে কতটা উন্নতি করেছি। ২০২৩ সালের এলজিএ পিয়ার রিভিউ অন্তর্ভুক্তিমূলক কাজের গুরুত্বকে তুলে ধরেছিল, এবং আমি আনন্দিত যে এলজিএ ধারাবাহিক বা নিরবচ্ছিন্ন উন্নতির ব্যাপারে আমাদের প্রতিশ্রুতি, শক্তিশালী আর্থিক ব্যবস্থাপনা, উচ্চমানের সেবা এবং বাসিন্দাদের জন্য কাজ করতে আমাদের অফিসার ও মেম্বারদের কাজের স্বীকৃতি দিয়েছে।”
তিনি বলেন, “উন্নতির সুযোগ সবসময় থাকে, এবং আমরা সরকারি এনভয়দের সঙ্গে এবং আমাদের ট্রান্সফরমেশন ও অ্যাসিওরেন্স বোর্ডের মাধ্যমে আমরা ধারাবাহিক উন্নতির মাধ্যমে এগিয়ে যেতে থাকব।”
২০২৩ সালের পিয়ার রিভিউতে মোট ১৮ টি সুপারিশ ছিলো। কাউন্সিল দ্রুতই একটি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে। নতুন রিপোর্টে বলা হয়েছে ১৭ টি সুপারিশই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কাউন্সিল ইতোমধ্যে সরকার - নিযুক্ত এনভয়দের সঙ্গে একটি কন্টিনিউস ইমপ্রুভমেন্ট প্লান (সিআইপি) প্রণয়ন করেছে। নতুন সুপারিশগুলো এতে যুক্ত করা হবে।

সুপারিশ বাস্তবায়নে অগ্রগতি
মূল কর্পোরেট পিয়ার চ্যালেঞ্জ এবং নতুন প্রগ্রেস রিভিউ উভয়টিতে মোট ১৮টি সুপারিশ তালিকাভুক্ত রয়েছে।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে: বরোর জন্য একটি কৌশলগত দৃষ্টি (স্ট্র্যাটেজিক ভিশন) বাস্তবায়ন, যা কাউন্সিল অংশীদারদের সঙ্গে মিলে তৈরি করেছে এবং শীঘ্রই প্রকাশ করবে; চ্যারিটি ও কমিউনিটি সেক্টরের সঙ্গে আরও সহযোগিতামূলকভাবে কাজ করা, বিশেষ করে অনুদান ও ভবন বরাদ্দের ক্ষেত্রে, যার ফলে ‘ভিসিএস সহকর্মীরা কাউন্সিলের সঙ্গে উন্নত যোগাযোগকে প্রশংসা করেছেন;’ মধ্যমেয়াদী আর্থিক কৌশল (মিডিয়াম টার্ম ফিনান্সিয়াল স্ট্র্যাটেজি) তৈরি করা, যা কাউন্সিল প্রকাশ করেছে এবং কর্মক্ষমতা ব্যবস্থাপনায় উন্নতি, যা সাম্প্রতিক সফরে ‘আরও ধারাবাহিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে’ বলে দেখা গেছে।
অন্যান্য সুপারিশ গুলোর মধ্যে রয়েছেঃ মেয়রের অফিসের ভূমিকা পর্যালোচনা করা এবং কর্মীসংখ্যা ৩৬ থেকে ৯ এ কমানো; অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক কাঠামো সরলীকরণ করা যাতে কর্মকর্তারা এটি আরও ভালোভাবে বুঝতে পারেন; কেবিনেটের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে আরও সময়োপযোগী এবং কার্যকর করা; কমিটির সদস্যপদে উন্নতি, যার মধ্যে রয়েছে ‘ওভারভিউ এন্ড স্ক্রুটিনি কর্তৃক কার্যকর কাজ সম্পন্ন করা;’ এবং ‘সদস্য উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা ও আর্থিক সম্পদ ব্যয় করা।’
কাউন্সিলকে এছাড়াও তার অভিযোগ প্রক্রিয়া শক্তিশালী করার, বার্ষিক শাসন বিবৃতি (এনুয়াল গভর্নেন্স স্টেটমেন্ট) প্রকাশ করার, ২০১৮/১৯ সাল পর্যন্ত পুরনো হিসাব অডিটরদের মাধ্যমে অনুমোদন করানোর এবং ২০২৪/২৫ সালের হিসাব প্রকাশের ক্ষেত্রে লন্ডনের প্রথম মিউনিসিপল হয়ে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য প্রশংসা করা হয়েছে।
যে সুপারিশে কাউন্সিল এখনও অগ্রগতির প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি, তা হল কর্মী নীতি (ওয়ার্কফোর্স স্ট্র্যাটেজি) তৈরি করা। কাউন্সিল দুই সপ্তাহের মধ্যে যোগদান করার জন্য একজন নতুন এইচআর পরিচালক নিয়োগ করেছে, যিনি এই কৌশলটি তৈরি করার দায়িত্বপ্রাপ্ত।
প্রগ্রেস রিভিউটি সেই একই সপ্তাহে প্রকাশিত হয়েছে যখন কাউন্সিলের জন্য সর্বশেষ বার্ষিক বাসিন্দা জরিপ (এনুয়াল রেসিডেন্ট সার্ভে) এর ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
১,০০০ এরও বেশি বাসিন্দার মধ্যে করা একটি স্বাধীন জরিপে দেখা গেছে যে, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল প্রায় সব ক্ষেত্রে সারা দেশের স্থানীয় কর্তৃপক্ষের গড়ের চেয়ে ভালো পারফর্ম করছে।

  • ৬৯% বাসিন্দা বলেছেন তারা কাউন্সিলের উপর অনেক বা যথেষ্ট পরিমাণে বিশ্বাস করে। জাতীয় গড় হচ্ছেঃ ৫০%
  • ৬৯% বাসিন্দা বলেছেন তারা কাউন্সিলের কাজের ধরনে সন্তুষ্ট। জাতীয় গড়ঃ ৫৬%
  • ৬৫% বাসিন্দা মনে করেন কাউন্সিল তাদের সমস্যার প্রতি মনোযোগ দেয়। স্থানীয় সরকারগুলোর জাতীয় গড় হচ্ছেঃ ৫৩%
  • ৬৫% বাসিন্দা মনে করেন কাউন্সিল তাদের ঠিক মতো তথ্য জানায়। জাতীয় গড়ঃ ৪৭%
  • ৫৪% বাসিন্দা মনে করেন কাউন্সিল তাদের টাকার সঠিক ব্যবহার (ভেল্যু ফর মানি) করে। দেশের গড়: ৩৬%

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের চিফ এক্সিকিউটিভ স্টিভ হ্যালসি বলেছেনঃ “টাওয়ার হ্যামলেটসের কিছু চ্যালেঞ্জ এবং বৈশিষ্ট্য আছে যা অন্যত্র নেই। আমরা দেশের সবচেয়ে ঘনবসতি এবং দ্রুত বর্ধনশীল এলাকা, এবং আমাদের অর্থনীতিও অন্যতম বড়।
এটার মানে হলো, শাসন, পারফরম্যান্স এবং প্রক্রিয়াগুলো পরিবর্তন করতে সময় লাগে। আমি খুব খুশি যে আমরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করছি এবং এটি এলজিএ দ্বারা স্বীকৃত হয়েছে। ২০২৩ সালে আমি কাউন্সিলে যোগ দেওয়ার পর আমরা এটিকে অগ্রাধিকার হিসেবে নিয়েছিলাম এবং এলজিএর সঙ্গে কাজ করে আমরা উন্নতি এবং উচ্চ মানের সেবা প্রদান করেছি।”
চীফ এক্সিকিউটিভ আরও বলেন, “আমাদের সাফল্য স্বাধীন বিশ্লেষণ থেকেও স্পষ্ট। আমাদের চিলড্রেন সার্ভিসগুলো এই বছরের শুরুতে ‘অসাধারণ’ রেটিং পেয়েছে এবং আমরা সম্প্রতি আমাদের সেরা বার্ষিক বাসিন্দা জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছি, যা দেখায় যে টাওয়ার হ্যামলেটস প্রায় সব ক্ষেত্রে সারা দেশের স্থানীয় সরকারের গড়ের চেয়ে ভালো করছে।
তিনি বলেন,  “কিন্তু আরও কাজ বাকি। আমাদের কর্মী নীতি (ওয়ার্কফোর্স স্ট্র্যাটেজি) তৈরি করা আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার, যার জন্য নতুন এইচআর পরিচালক দায়িত্বে যোগ দিচ্ছেন। এছাড়া আমাদের ‘নিরবচ্ছিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা’ (কন্টিনিউয়াস ইমপ্্রুভমেন্ট প্ল্যান) বাস্তবায়নের জন্য আমরা সরকারের এনভয়দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।”
নতুন কর্পোরেট পিয়ার চ্যালেঞ্জ - প্রগ্রেস রিভিউ দেখতে হলে ভিজিট করুনঃ www.towerhamlets.gov.uk/lgnl/council_and_democracy/Peer-Review-Feedback-report.aspx
কাউন্সিলের সর্বশেষ বার্ষিক বাসিন্দা জরিপের বিস্তারিত দেখতে চাইলে ভিজিট করুনঃ www.towerhamlets.gov.uk/lgnl/community_and_living/borough_statistics/Annual_Residents_Survey.aspx
উল্লেখ্য, টাওয়ার হ্যামলেটসকে এক এলাকায় লন্ডনের সেরা বৈশিষ্ট্যগুলোর সমন্বয় হিসেবে বর্ণনা করা হয়। এটি যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল এবং সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। ২০১১ সাল থেকে এখানকার জনসংখ্যা ২২.১ শতাংশ বেড়ে এখন ৩১০,৩০০-এ পৌঁছেছে। লন্ডনের মধ্যে সবচেয়ে কমবয়সী জনসংখ্যা এখানে বসবাস করে, এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে এটি পঞ্চম সর্বকনিষ্ঠ এলাকা।
এই বরো দেশজুড়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক উৎপাদন করে। এর মধ্যে রয়েছে সিটি ফ্রিঞ্জ এলাকার হোয়াইটচ্যাপেল, ওল্ডগেট ও স্পিটালফিল্ডস, এবং ক্যানারি ওয়ার্ফ ও হোয়াইটচ্যাপেলে গড়ে ওঠা দুটি নতুন লাইফ সায়েন্স ক্লাস্টার। স্পিটালফিল্ডস, কলম্বিয়া রোড, পেটিকোট লেন এবং ব্রিক লেনের মতো বিশ্ব বিখ্যাত মার্কেটও এখানে অবস্থিত।
টাওয়ার হ্যামলেটস যুক্তরাজ্যের সেরা পর্যটনস্থলগুলোর একটি কেন্দ্র, যেমন টাওয়ার অফ লন্ডন, ইয়াং ভিএন্ডএ, মিউজিয়াম অফ লন্ডন ডকল্যান্ডস, টাওয়ার ব্রিজ এবং ১২০ টিরও বেশি পার্ক, যার মধ্যে ভিক্টোরিয়া পার্ক ও কুইন এলিজাবেথ অলিম্পিক পার্কের অংশ রয়েছে। এলাকাটি বড় মাপের উৎসব ও অনুষ্ঠান, যেমন অল পয়েন্টস ইস্ট, ইন দ্য নেবারহুড এবং লন্ডন ম্যারাথনের আয়োজনের জন্যও পরিচিত।
এটি বিশ্বমানের শিক্ষা ও উদ্ভাবনের কেন্দ্র, যেখানে কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন, বার্টস এনএইচএস ট্রাস্টের হাসপাতাল, যেখানে এক সময়ে ৪,০০০ এরও বেশি মানুষ চিকিৎসা প্রশিক্ষণ পান এবং লন্ডন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির স্কুল রয়েছে। এছাড়া এটি একটি বৈচিত্র্যময় বরো, যার গর্বিত ইতিহাস রয়েছে সমতা ও অন্তর্ভুক্তির উপর ভিত্তি করে। এখানে ১৩৭টির বেশি ভাষা প্রচলিত, এবং ২০০টিরও বেশি দেশে জন্ম নেওয়া মানুষ এখানে বাস করেন। ৯১ শতাংশ বাসিন্দা জানান যে তারা একে অপরের সঙ্গে ভালোভাবে মিশে চলেন।
অতীতের দিক থেকেও টাওয়ার হ্যামলেটস লন্ডনের কেন্দ্রস্থল। কেবল স্ট্রিটের যুদ্ধ, রোমান রোডে সাফরাগেট আন্দোলনের সূচনা, এবং লন্ডন ডকস, যা একসময় যুক্তরাজ্যে অভিবাসীদের প্রধান প্রবেশদ্বার ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের কেন্দ্র ছিল—সবই এই বরোর ইতিহাসের অংশ।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন