লন্ডন, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ||
১২ অক্টোবর রোববার পূর্ব লন্ডনের ভিক্টোরিয়া পার্কে দেড় হাজারের বেশি মানুষের অংশগ্রহণের অনুষ্ঠিত হলো ১২তম মুসলিম চ্যারিটি রান । আর এই চ্যারিটি রানের মাধ্যমে ইস্ট লন্ডন মসজিদসহ ৪০টি চ্যারিটি সংগঠন সংগ্রহ করলো প্রায় ৩শ' হাজার পাউন্ড। এ নিয়ে গত ১২ বছরে বিভিন্ন চ্যারিটি সংস্থা সংগ্রহ করেছে ১.৫ মিলিয়ন পউণ্ড। এই অর্থ ব্যয় হয়েছে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন মানবিক কাজে।
ইস্ট লন্ডন মসজিদ আয়োজিত এই চ্যারিটি রান যুক্তরাজ্যের মুসলিম কমিউনিটির জন্য একটি বড় উৎসবে পরিনত হয়েছে । চ্যারিটি রানে অংশগ্রহণের জন্য মানুষের মধ্যে সারা বছরই প্রস্তুতি থাকে । নিয়মিত দৌড়াদৌড়ির মাধ্যমে তারা নিজেকে ফিট রাখেন। এভাবে গত ১২টি চ্যারিটি রানের মাধ্যমে হাজার হাজার মানুষ দৌড়াদৌড়ি তথা শরীর চর্চায় নিজেদের অভ্যস্থ করে তুলেছেন ।
শুধু দৌড়ে অংশগ্রহণ আর ফান্ডরেইজিংয়ের মধ্যেই মুসলিম চ্যারিটি রানের কার্যকারিতা সীমাবদ্ধ নয়, বরং এই চ্যারিটি রানে যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে শতাধিক রানার পরবর্তীতে বিভিন্ন স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছেন ।
১২তম চ্যারিটি রান উপলক্ষে সকাল ৯টা থেকেই ছেলে বুড়ো যুবা বিভিন্ন বয়সের মানুষ ভিক্টোরিয়ো পার্ক অভিমুখে ছুটে আসতে থাকেন । অল্প কিছুক্ষনের মধ্যে এক বিশাল সমবেশে রূপ নেয়।
সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হয় ওয়ার্ম-আপ সেশন । চলে প্রায় একঘন্টা সময়। ঘড়ির কাটা যখন সকাল সাড়ে ১০টায় তখনই বেজেওঠে হুইসেল । শুরু হয় ৫ কিলোমিটার দৌড়। প্রথমে শিশুদের দৌড় শুরু হয় । এরপর পর্যায়ক্রমে বয়স অনুপাতে অন্য গ্রুপগুলো দৌড়াতে শুরু করে।
মাত্র ২০ মিনিট ৫ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে ৫ কিলোমিটার দৌড় সম্পন্ন করে ফিনিশিং লাইনে ফিরে এসে এবার সেরা দৌড়বিদ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন ৩১-৪৫ বয়স ক্যাটাগরিতে আব্দুল্লাহ কিজিথো। এরপর অন্যান্য বয়স ক্যাটাগরিতে বিজয়ীরা একে একে ফিনিশিং লাইনে ফিরে আসতে থাকেন । বিজয়ীদের গলায় মেডেল পরিয়ে অভিবাদন জানান অতিথিরা।
দৌড় শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথি টাওয়ার হ্যামেলটস কাউন্সিলের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান । ইস্ট লন্ডন মসজিদের সিইও জুনায়েদ আহমদের সঞ্চালনায় পুরস্কার বিতরণী পর্বে বক্তব্য রাখেন মসজিদের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল হাই মুর্শেদ, ট্রেজারার সৈয়দ তুহেল আহমদ ও সিনিয়র ইমাম সৈয়দ আনিসুল হক। চ্যারিটি রান আয়োজনে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ইস্ট লন্ডন মসজিদের ফান্ডরেইজিং ম্যানেজার তজম্মুল আলী।
উল্লেখ্য, এবারের চ্যারিটি রানে পার্টনার ও স্পনসর ছিলো আমানাহফাই, লন্ডন ম্যারাথন, হিউম্যান আপিল, সুন্নাহ মাস্ক, সরকার সলিসিটর্স, কুরআন বাউন্ড, গ্লোবাল এহসান রিলিফ, এম.এ.টি.ডাব্লিউ প্রজেক্ট, মুসলিম হেল্প ইউকে, সালাম চ্যারিটি, আগোশ ইউকে, হিউম্যান রিলিফ ফাউন্ডেশন, জিআরটি ইউকে, মুসলিম চ্যারিটি, আল খায়ের ফাউন্ডেশন, হেল্প ইয়াতীম ও মুসলিম এইড।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন