রুবেল আহমেদ || মৌলভীবাজার সদর প্রতিনিধি::-মৌলবীবাজারে নিউ লাইফ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রতারক চক্রের নির্বাহী পরিচালক মিজানুর রহমান হাতিয়ে নিলো ৬ লক্ষাধিক টাকা। জানা গেছে,মিজানুর রহমান সারা দেশে একটি সিন্ডিকেট চক্র সৃষ্টি করে নিজেকে একজন দলীয় কেন্দ্রীয় নেতা আবার মন্ত্রী-এমপির নিকট আত্নীয় পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। প্রতারণা ছিল তাদের এক মাত্র পেশা। প্রতারক মিজানুর রহমান বাসা ২০০/৭ আলমীর টেক,পশ্চিম আগারগাঁও (উত্তর), মোহাম্মদপুর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের পিতা আব্দুর রাজ্জাক মোল্ল্যা, মাতা মেহেরুননেছা বেগম(মহরা) এর পুত্র।
ঢাকায় বসবাস করলেও প্রতারণা করে টাকা আত্নসাত করার জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জেলায় তার নেটওর্য়াক বিস্তার করতো। এমনটি বলেছেন তার অফিসের কর্মরত অনেকে। মৌলভীবাজার শহরের পৌরসভাধীন শাহ মোস্তফা রোডে সেলিম আহমেদর দ্বীতলা বভন যা সাবেক নিউক্লিয়াস কোচিং সেন্টার নামে পরিচিত এই বভনটিতে নতুন করে নিউ লাইফ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র,নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলে প্রতারক (মোঃ মিজানুর রহমান,নির্বাহী পরিচালক)।তারপর প্রথমেই যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানের আশেপাশের সহ শহরের ৩৫জন কর্মচারী নিয়োগ করে। কর্মচারীদের নিকট হইতে সিকিউরিটি মানি হিসাবে ২ হাজার ৫০টাকা করে ৭১ হাজার ৭ শত ৫০ টাকা গ্রহন করে। নিয়োগ করা কর্মচারীদের মাধ্যমে সেলাই প্রশিক্ষণ ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ সহ বিভিন্ন কোর্সে ২৫০ জন ছাত্রী ভর্তি করেন।
প্রতি প্রশিক্ষনার্থীর নিকট হইতে ২ হাজার ৫০টাকা করে ৫লাখ ১২হাজার ৫ শত টাকা গ্রহন করে সীল স্বাক্ষর দিয়ে প্রশিক্ষণ কার্ড প্রদান করে প্রতাক মোঃ মিজানুর রহমান। এনিয়ে জিবি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে ভুক্তভোগী ইমা আক্তার, রাবেয়া বেগম সহ আরও বেশ কয়েকজন বলেন, প্রতারক মিজানুর রহমান পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সমূহ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ১২/১২/২০২০ইং তারিখ হইতে ক্লাস শুরু করবে বলে সকল প্রশিক্ষনার্থীদেরকে মৌখিকভাবে জানায়। কিন্তু ১২/১২/২০২০ইং তারিখে প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণ সহ প্রশিক্ষনার্থীরা এসে প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ পেয়ে প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান এর মোবাইল ফোন নং- [০১৯০৬-০৬২৬২৫] এ কল দিলে মোবাইল বন্ধ পায়। তখন মৌলভীবাজার শহরের কোর্ট রোডস্হ সার্কিট হাউজ এলাকা,তাহার আবাসিক ভাড়াটিয়া বাসা শাহনাজ ভিলা,খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন মিজানুর রহমান সেখানে নেই। আবাসিক বাসার মালিক জানান, প্রতারক মিজানুর রহমান তার বাসা ভাড়া দিচ্ছেন দিবেন বলে ২ মাসের ভাড়া,বিদ্যুৎ বিল,গ্যাস বকেয়া রেখে রাতের আধাঁরে পালিয়েছেন।
প্রতারক মিজানুর রহমান ৩৫ জন কর্মচারী নিয়েগের পর তাদেরকে বেতন না দিয়ে সময় ক্ষেপন করেন। সুকৌশলে সেলাই প্রশিক্ষণ ও কম্পিউটার প্রশিক্ষন সহ বিভিন্ন কোর্সে প্রায় ২৫০জন ছাত্রী ভর্তি করে নগদ ৫ লাখ ১২ হাজার ৫ শত টাকা উত্তোলন করে রাতের আধারে পালিয়ে যায়। এব্যাপারে জিবি নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে ইমা আক্তার, রাবেয়া বেগম, শিল্পী, পোরবী,শান্তা,মিম,শেফালি, মুন্নি এবং মার্জিয়া আক্তার বলেন, আমাদের মনে হইতেছে মোঃ মিজানুর রহমান সকলের নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ৫ লাখ ৮৪ হাজার ২ শত ৫০ টাকা আত্মসাৎ করিয়া কাউকে কিছু না বলে গোপনে গত ১১/১২/২০২০ইং ঘটনাস্থল ত্যাগ করিয়া অত্যন্ত গোপনে চলে যায়। ইহাতে আমরা প্রশিক্ষনার্থীরা ও কর্মচারীগণ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হইয়াছি।
প্রতারক মোঃ মিজানুর রহমান এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য প্রশাসনের নিকট আমরা দাবী জানাচ্ছি। এনিয়ে সরজমিনে সার্কিট হাউস এলাকার ভাড়া করা শাজনাজ ভিলায় গেলে মালিক বলেন, পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স ও ভোটার আইডি দেখে বাসা ভাড়া দেই মিজানকে। কিন্তুু টাকা দেবে দিবো বলে দেয়নি ২মাসের ভাড়া। সকালে বাসায় নিচতলায় নেমে দেখি দরজা জানালা খোলা তখন খোজ নিলে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছেনা। এ ঘটনায় ভূক্তভোগীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মৌলভীবাজার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ প্রদানের প্রক্রিয়া রয়েছে বলে জানা গেছে।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন