ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে মঙ্গলবার রাতে আঘাত হানা ৬.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২ জনে দাঁড়িয়েছে বলে দেশটির সিভিল ডিফেন্স সংস্থা জানিয়েছে। ধ্বংসস্তূপে উদ্ধার তৎপরতা চলছে এবং কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে সিভিল ডিফেন্স জানায়, ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন আরও ২৯৪ জন।
বুধবারের হিসাবের তুলনায় মৃতের সংখ্যা তিনজন বেড়েছে। সব মৃত্যুই ঘটেছে মধ্য ভিসায়াস অঞ্চলে।
অগভীর এই ভূমিকম্পটি মধ্যাঞ্চলের সেবু দ্বীপের উপকূলে রাতে আঘাত হানে। এতে বিদ্যুৎ লাইন, সেতু এবং বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ধসে পড়ে শত বছরেরও বেশি পুরোনো একটি গির্জা।
সেবুর এই ভূমিকম্পটি ২০১৩ সালের পর দেশটির সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প। তখন প্রতিবেশী বোহোল দ্বীপে ৭.২ মাত্রার এক ভূমিকম্পে অন্তত ২২২ জন নিহত হয়েছিল।
এদিকে প্রেসিডেন্ট ফার্ডিনান্ড মার্কোস জুনিয়র ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, মন্ত্রিসভার সদস্যরা সরাসরি ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি করছেন।
রয়টার্স বলছে, ফিলিপিন্সের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র সেবুতে ৩৪ লাখ মানুষ বসবাস করে। ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি হচ্ছে সান রেমিজিও। এই শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের সহকারী মেয়র আলফি রেইনেস জানিয়েছেন, বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে, বিদ্যুৎ নেই, আর পানির সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তীব্র সংকটে পড়েছে মানুষ।
এই পরিস্থিতিতে খাদ্য, পানি ও ভারী যন্ত্রপাতি দিয়ে জরুরি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, মানুষ ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসছে এবং ভবন ধসে পড়ছে। এমনকি শতবর্ষী একটি গির্জাও ভেঙে পড়েছে। রেইনেস জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে কয়েকজন সান রেমিজিওর একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্সে বাস্কেটবল খেলছিলেন। ভূমিকম্পে ওই ভবনটি আংশিক ধসে পড়ে।
উল্লেখ্য, প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থানের কারণে ফিলিপাইনে প্রতিবছর ৮০০-রও বেশি ভূমিকম্প হয়।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন