মৌলভীবাজারে আবাসন প্রকল্পে পাহারাদার প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ টাকা

gbn

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ

মৌলভীবাজার সাইট এন্ড সার্ভিস আবাসিক প্লট উন্নয়ন, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ সিলেট উপ বিভাগ সিলেট এর আওতাধীন সল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের জন্য মৌলভীবাজার উপজেলার জগনাৎপুর এলাকায় আবাসন প্রকল্পে পাহারাদার মৌলুদ মিয়া প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ টাকা এমন অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।  পাহারাদার মৌলুদ মিয়া প্রকল্পের জায়গায় কালো পাতর, সারি বালু রাখার জন্য মাঠ ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে মাসিক ভাড়া নিচ্ছেন।  এমন অভিযোগ পাওয়ার পর আবাসিক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর পরিমাণের কালো পাতর ও সারি বালু প্রকল্পের মাঠে রাখা আছে।  আবাসিক প্লটে পাহারাদার কয়েক একর জায়গায় কৃষি ক্ষেত করে সম্পূর্ণ ধান নিজে হাতিয়ে নেন। প্রকল্পের মধ্যে হাঁসের খামার ভাড়া দিয়েছেন তিনি। প্রকল্পে কলা গাছের বাগান সহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা নিজের মতো করে হাতিয়ে নিচ্ছেন পাহারাদার মৌলুদ মিয়া। এসব টাকা জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষকে ফাঁকি দিয়ে নিজে ফায়দা হাসিল করছেন। জগনাৎপুর এলাকার ফজল মিয়া বলেন - আমাদের জগনাৎপুর বিশাল এলাকা আমাদের সবার দাবী প্রকল্পের পাশ দিয়ে একটি রাস্তা করে দেওয়ার জন্য বোরো কৃষি চাষ শেষে ফসলি ধান নিয়ে আসতে হলে প্রকল্পের রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। বিকল্প কোন রাস্তা নেই আওর অঞ্চল থেকে আসার জন্য। প্রকল্পের রাস্তায় ব্যবহার করতে হলে বিনিময়ে পাহারাদার মৌলুদ মিয়াকে টাকা দিতে হয়। শুধুমাত্র টাকা দেওয়া হলেই আবাসনের রাস্তায় আসার অনুমতি দেওয়া হয়। হাওর থেকে ট্রলি দিয়ে ধান আনতে হলে প্রতি গাড়ীতে টাকা দেওয়া লাগে।  ঐ এলাকার হারুন মিয়া বলেন - উপশহরে ডুকতে হলে পাহারাদার কে টাকা দেওয়া লাগে। উপশহরে পাতর রাখে ভাড়া নেয়, সারা এলাকার মানুষ এটি জানে, মৌলুদ মিয়া প্রতি মাসে লক্ষ টাকা আয় করেন।  নিজ এলাকার মিজানুর রহমান বলেন - আমরা গরু হাওরে দিয়ে চারলে গরু উপশহরে ডুকলে গালিগালাজ করে, উপশহরের কোন ধরনের বেরা না থাকার কারণে গরু প্রবেশ করার সুযোগ পায়। পাহারাদার মৌলুদ আগুল ফুলে কলাগাছ, আমাদের জগনাৎপুর বাসীর দাবী হাওরে যাওয়ার জন্য আমাদের এলাকা বাসীর চলার জন্য রাস্তা ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে।  আমার চাই আবাসন প্রকল্প দুর্নীতি মুক্ত থাকুক, আপনে নিজে দেখতে পারছেন পাহারাদারের সীমাহীন দূর্নীতির অভিযোগ।  পাহারাদার মৌলুদ মিয়াকে ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ইং জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ সিলেট উপ বিভাগের পক্ষ থেকে পাহারাদার হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়।  এ বিষয়ে পাহারাদার মৌলুদ মিয়াকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন - প্রকল্পে পাতর রাখছে আমার এক ভাগনা, পাতর মাঝে মধ্যে সেল দেওয়া হয়। হাঁসের যে খামারটি এটি আমার খালার ঘরের ভাইয়ের। উপশহরে আমি কিছু ক্ষেত কৃষি করি নিজের খাওয়ার জন্য। আমি ক্ষেত করি আমার অফিসারকে বলিয়া। স্যারের অনুমতি নিয়া কলাগাছ লাগাইছি, স্যারকে কলা দেই, আমি নিজেও খাই। আমার বেতন ও কম মাত্র আট হাজার টাকা। আর আমার স্যার অনুমতি দিয়েছে পাতর রাখার জন্য। আমার চাকরি খাইয়া আপনার কিতা হইবো। আপনারে যে বলেছে আমি টাকা নিয়া এলাকার মানুষকে প্রকল্পে প্রবেশ করার অনুমতি দেই এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। এলাকার মানুষ যদি আমার ছোট ছেলের হাতে টাকা দেয়, তাহলে আমি কি না করতে পারবো !  জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ সিলেট উপ বিভাগের চিপ ইঞ্জিনিয়ার মফিজ মিয়ার সাথে মোটা ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন - উপ শহরে পাতর রাখার কোন অনুমতি নেই। কর্তৃপক্ষ পাহারদারকে এমন কোন অনুমতি দেয়নি। বাকি বিষয়গুলো আমরা দেখবো।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন