নেপালে জেন জি আন্দোলনে নিহতদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) মরদেহগুলো ট্রিচিং হাসপাতাল থেকে পাশুপতী আর্যঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিহতদের পূর্ণ রাষ্ট্রীয় সম্মানে শেষ বিদায় জানানো হয়।
এদিন গৃহ ও আইনমন্ত্রী ওম প্রকাশ আর্যল এবং জ্বালানি, ভৌত অবকাঠামো ও শহর উন্নয়নমন্ত্রী কুলমান ঘিসিং মরদেহগুলোর ওপর নেপালের জাতীয় পতাকা বিছিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় নিরাপত্তাকর্মীরা স্যালুট প্রদান করেন। নিহতদের কয়েকজনের মরদেহ তাদের নিজ জেলায় নিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।
এর আগে, জেন জি আন্দোলনে নিহতদের শহীদ ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া, ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় শোক দিবস ও সরকারি ছুটি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দুর্নীতি, সরকারবিরোধী নিপীড়ন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাস্তায় নেমে আসে নেপালের তরুণ সমাজ। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী জলকামান, টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট এবং গুলি ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। বিভিন্ন শহরে জারি করা হয় কারফিউ।
তবে আন্দোলনকারীরা দমে না গিয়ে পরদিনও বিক্ষোভ চালিয়ে যান। চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। এদিন বিভিন্ন নেতার বাড়ি ও সরকারি ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা। নেপালের সহিংসতায় এ পর্যন্ত অন্তত ৭২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এ অবস্থায় গত ১২ সেপ্টেম্বর নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নেন সাবেক বিচারপতি সুশীলা কার্কি। এরই মধ্যে মন্ত্রিসভা গঠনের কাজ শুরু করেছেন তিনি। সোমবার শপথ নিয়েছেন নতুন তিন মন্ত্রী।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন