নেপালে জনতার ভোটে হতে পারে নতুন মন্ত্রীদের নিয়োগ, ঘোষণা আজই

gbn

নেপালে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) নতুন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করতে পারেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি। প্রয়োজনীয় পরামর্শ শেষে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সরকারি সূত্রের বরাতে নেপালি সংবাদমাধ্যম খবর হাব জানিয়েছে, এই মুহূর্তে পরামর্শ চলছে। আজকের মধ্যেই ছোট আকারের একটি মন্ত্রিসভা গঠন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

এর আগে, গত শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে নেপালের ইতিহাসে প্রথম নারী সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নেন সাবেক বিচারপতি সুশীলা কার্কি। জেন জি আন্দোলনকারীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এবং প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেল ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার পর কার্কিকে অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।


    নেপালে জেন জি বিক্ষোভ/ আমাদের ত্যাগ যেন বৃথা না যায়, নতুন প্রধানমন্ত্রীর কাছে আহতদের আর্তি
    শীতল নেপালের উত্তপ্ত রাজনীতি

সিদ্ধান্ত হয়, জেন জি প্রজন্মের দাবির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা হবে। শপথ নেওয়ার পরপরই প্রধানমন্ত্রী কার্কি প্রতিনিধি সভা ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করেন, যা দ্রুত অনুমোদন দেন প্রেসিডেন্ট পৌডেল। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে আগামী ৫ মার্চ সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন কার্কি।

তবে নেপালি কংগ্রেস, সিপিএন-ইউএমএল ও মাওবাদী কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি বড় দল এ সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্টি জানিয়েছে। তাদের মতে, পার্লামেন্ট বহাল রেখেই সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় কার্কিকে নিয়োগ দেওয়া যেতো।

খবরে বলা হয়েছে, প্রচলিত দলীয় কাঠামোর বাইরে গিয়ে গণআন্দোলনের চরিত্র বজায় রেখে এবার মন্ত্রী নির্বাচন প্রক্রিয়াও হতে পারে ভিন্নধর্মী।

 

ধারণা করা হচ্ছে, মন্ত্রীদের নাম জনভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ করবেন কার্কি। এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক কুলমান ঘিসিং ও আইনজীবী ওমপ্রকাশ আয়ারেলের নাম আলোচনায় রয়েছে, যারা মূলধারার রাজনীতির বাইরে থেকে আসছেন।

দুর্নীতি, সরকারবিরোধী নিপীড়ন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে গত ৮ সেপ্টেম্বর রাস্তায় নেমে আসে নেপালের তরুণ সমাজ। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনী জলকামান, টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট এবং গুলি ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। বিভিন্ন শহরে জারি করা হয় কারফিউ।

তবে আন্দোলনকারীরা দমে না গিয়ে পরদিনও বিক্ষোভ চালিয়ে যান। চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি। এদিন বিভিন্ন নেতার বাড়ি ও সরকারি ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষোভকারীরা।

 

নেপালের সহিংসতায় এ পর্যন্ত অন্তত ৫১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন