নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি। প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেপালের ইতিহাসেরও অংশ হলেন তিনি। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাজধানী কাঠমান্ডুতে প্রেসিডেন্ট ভবনে শপথ নেন তিনি। দেশটিতে চলমান অনিশ্চয়তার মধ্যে জেন-জি আন্দোলনকারীদের দাবি অনুযায়ী, তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌডেল। খবর বিবিসির।
প্রেসিডেন্টের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা সুরেশ চন্দ্র চালিসে জানিয়েছেন, সংবিধানের চেতনার ভিত্তিতে সুশীলা কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
দেশটির শীর্ষ নেতা, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা এই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জেন জি আন্দোলনকারীরা দেশটির প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রেসিডেন্টের প্রেস উপদেষ্টা কিরণ পোখারেল বলেন, মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে পরামর্শ করে বাকি কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে।
তবে প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা চালিসের বক্তব্য অনুসারে, একটা সমঝোতার ভিত্তিতে দেশটির মন্ত্রিপরিষদ গঠন এবং পরবর্তী বৈঠকে সংসদ বা প্রতিনিধি পরিষদ ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করা হবে। এই বৈঠকে জরুরি অবস্থা এবং নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত না বললেও তিনি জানিয়েছেন, উদ্ভূত অস্বস্তিকর এবং বিব্রতকর পরিস্থিতি মোকাবিলার লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট এই প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছেন। প্রেসিডেন্ট রাম চন্দ্র পৌডেলের নেওয়া এই পদক্ষেপের মাধ্যমে চলমান পরিস্থিতির অবসান ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর আগে নেপালের আন্দোলন এবং বিক্ষোভের পর ভার্চুয়াল ভোটের ফলাফলে সুশীলা কার্কিকেই মনোনীত করেছিলেন জেন জি বিক্ষোভকারীরা।
বিক্ষোভের সময় ১৯ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়ার পরের দিনই সুশীলা কার্কি বানেশ্বরের বিক্ষোভস্থলে যান এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের সঙ্গেও দেখা করেন।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন