টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত লেজার এন্ড ওয়েলবিয়িং সার্ভিস ‘বি - ওয়েল’ এর প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। প্রথম বছরে কমিউনিটি ডিসকাউন্টসহ নানা সুযোগ সুবিধা, বারার বাসিন্দাদের সাথে সক্রিয় যোগাযোগ স্থাপন এবং চলমান উন্নয়নে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখা হয়েছে।
গ্রীনউইচ লেজার লিমিটেড (বেটার) এর সঙ্গে চুক্তি সমাপ্তির পর ২০২৪ সালের মে মাসে বি—ওয়েল আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। কমিউনিটি-বান্ধব বি ওয়েল সার্ভিস বারার বাসিন্দাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য, উন্নত শরিরচর্চা এবং প্রতিবন্ধকতা-মুক্ত প্রবেশ নিশ্চিত করেছে। বিশেষ করে নারী, বয়স্ক লোক এবং দীর্ঘ মেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন এমন বাসিন্দাদের জন্য নানা সুবিধা নিয়ে এসেছে বি—ওয়েল সার্ভিস।
বর্ষপূর্তি হিসেবে বারার বাসিন্দাদের ধন্যবাদ জানাতে বি-ওয়েল গিভওয়ে লিংকের মাধ্যমে সার্ভে পরিচালনা করে। তাতে অংশ নেন প্রায় ২ হাজার ৮৪২ জন। এর মধ্যে ৮৮ শতাংশ সার্ভিস গ্রহণকারী জানিয়েছেন বি—ওয়েল ব্র্যান্ড গুড অথবা এক্সেলেন্ট। জিম, পুল এবং চ্যাঞ্জিং রুমের সুবিধা নিয়ে ৭২ শতাংশ মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
প্রথমবারের মতো গিভওয়ে বিজয়ী সাজমিন বেগম পেয়েছেন বি-ওয়েল মেম্বারশীপ কার্ড। এর মাধ্যমে তিনি পুরো এক বছর বিনামূল্যে সুবিধা গ্রহন করতে পারবেন। এছাড়াও ৫ দিন বি-ওয়েল স্পা ফ্রি ব্যবহারের সুবিধা পাবেন।
বি-ওয়েল প্রথম বছর মোট ৩৭ হাজার ২৭৭ জন সদস্য রেকর্ড করেছে। এর মধ্যে ৮২ শতাংশই হচ্ছেন নারী। এছাড়াও ১৬ বছর ও তার বেশি বয়সী মহিলা এবং ৫৫ বছরের বেশি পুরুষ মোট ১৯ হাজার ১৫০ জন সদস্য বিনামূল্যে সাঁতার সুবিধা নিয়েছে।
উল্লেখ্য বি-ওয়েল সার্ভিসের ধারাবাহিক উন্নয়ন পরিকল্পনায় রয়েছে, মাইল এন্ড স্টেডিয়ামে থ্রিজি রাবার ক্রাম্ব সারফেস, ফেন্স, ফ্লাশলাইট এবং নতুন গোল পোস্ট তৈরী। চলতি বছরের জুন মাসে এই কাজ শুরু হয়েছিলো। আশা করা হচ্ছে, এর সমাপ্তি হবে চলতি আগস্ট মাসেই। পপলার এন্ড ইয়র্ক হলে চালু হবে শুধুমাত্র নারীদের জন্য জিম সুবিধা, হোয়াইটচ্যাপেল এন্ড মাইল এন্ড লেজার সেন্টারে হেলথ স্যাুট বর্ধিত হবে, মাইল এন্ড লেজার সেন্টারের চ্যাঞ্জিং ভিলেজে গুরুত্বপূর্ন পরিবর্তন নিয়ে আসা হচ্ছে এবং সুইমিং পুল গুলোতে নতুন ওয়াটার ইনফ্লাটেবল এর সুবিধা বাড়ানো হবে।
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের কালচার অ্যান্ড রিক্রিয়েশন বিষয়ক ক্যাবিনেট মেম্বার, কাউন্সিলর কামরুল হুসাইন বলেন, "বি-ওয়েল" একটি শক্তিশালী উদাহরণ যে কীভাবে লেইসার সার্ভিস স্থানীয় বাসিন্দাদের হাতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব।
মাত্র এক বছরে এই সার্ভিস অসাধারণ সাফল্য নিয়ে এসেছে। বিশেষ করে নারী এবং বয়স্কদের সেবা এবং কমিউনিটির সাথে সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেছে বি-ওয়েল।
আমরা গর্বিত যে, বি-ওয়েল ইতিমধ্যে বারার বাসিন্দাদের সেবায় যে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। দ্বিতীয় বছরে এবং এর পরেও যাতে সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকে সেই প্রত্যাশা করছি।
চলতি ২০২৫ সাল এবং তারপরও বি-ওয়েল অফার সুবিধা বজায় রাখবে। বারার বাসিন্দাদের কথা শুনবে এবং সার্ভিসগুলো যাতে সূলভ এবং কমিউনিটি বান্ধব থাকে তা নিশ্চিত করা হবে।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন