বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে। দেশ দুটির দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার বিষয়েও ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) সিউলে অনুষ্ঠিত দুই দেশের পররাষ্ট্র দপ্তর পরামর্শ বৈঠকে (এফওসি) এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক, প্রযুক্তিগত সহায়তা, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং রোহিঙ্গা সংকটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়।
চতুর্থ দফার এই বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (দ্বিপাক্ষিক–পূর্ব ও পশ্চিম) ড. মো. নজরুল ইসলাম। কোরিয়ার প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দেশটির প্রথম উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্ক ইউনজো।
আলোচনায় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা, ইপিএস কর্মসূচির আওতায় নিয়মিত জনশক্তি রপ্তানি, শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণে সহযোগিতা, জ্বালানি খাত, কোরিয়ান ইলেকট্রনিক্স ও সেমিকন্ডাক্টর শিল্প স্থানান্তর এবং অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যু বিশেষভাবে গুরুত্ব পায়। কোরিয়ান পক্ষ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের মানবিক ভূমিকার প্রশংসা করে এবং টেকসই সমাধানের জন্য সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেয়।
এছাড়া নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, জ্বালানি রূপান্তর, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, মৎস্য, বায়োটেকনোলজি এবং জাহাজঘাঁটির আধুনিকীকরণের কথা আলোচনা হয়। কোরিয়ান পক্ষ বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দেশটিতে শিল্প কারখানা ও উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করে।
উভয় দেশই রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধান পর্যায়ে উচ্চপর্যায়ের সফরের গুরুত্বের ওপর জোর দেয়। দু’পক্ষই মনে করে, এমন সফর বাংলাদেশ–কোরিয়া সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপ দেবে।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব ড. নজরুল ইসলাম কোরিয়ার প্রথম উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও সৌজন্যের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও ফলপ্রসূ করতে বাংলাদেশ আশাবাদী।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন