হাকিকুল ইসলাম খোকন,
নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকাবাসী অন্যান্য বছরের মতো এবারও পালন করলো জাতীয় শোক দিবস। অনুষ্ঠানটি জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্টের সামনে অনুষ্ঠিত হয় সার্বজনীন ভাবে ১৫ আগস্ট শুক্রবার। সংগঠনের সভাপতি সকিল মিয়ার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলম নমির পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও আহ্বায়ক মীর নিজামুল হক, সদস্য সচিব মামুন মিয়াজি, জেবিবির সভাপতি হারুণ ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ সোলায়মান, বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম ফজলুল হক, সহযোগিতায় ছিলেন মানিক বাবু, এম রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ দুলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকরাম হোসেন বিপ্লব, ক্রীড়া সম্পাদক ইফতি খান টিপু। পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন জয়নাল আবেদীন, শাহ জে চৌধুরী, মহিউদ্দিন দেওয়ান, আলমগীর হোসেন, মফিজুর রহমান, নূরুজ্জামান সর্দার, শাখাওয়াত বিশ্বাস, সোহেল গাজী, খোরশেদ খন্দকার, কামাল ভুইয়া, রফিকুর রহমান, ইকবাল হোসেন, সৈয়দ এম কিবরিয়া। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যতম উপদেষ্টা ড. প্রদিপ রজ্ঞন কর,অন্যতম উপদেষ্টা ও সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন,, দফতর সম্পাদক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী,আওয়ামী লীগ নেতা জালাল উদ্দিন জলিল,কায়কোবাদ খান,আবুল কাশেম ভূঁইয়া,মুক্তিযোদ্ধা শওকত আকবর রিচি,ফারুক হোসাইন,খুরশিদ আনোয়ার বাবলুসহ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের অন্যনা নেতৃবৃন্দ প্রমুখ। বিকাল তিনটা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কয়েক শত মানুষকে গরু জবাই করে এবং মুরগীর মাংস দিয়ে মুলধারার লোকজনসহ প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে খাবার পরিবেশন করা হয় ।অনুষ্ঠানে সভাপতি সাকিল মিয়া বলেন, জাতির পিতা বংগবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কোন দলের না। তাকে আমরা কোন দলের হতে দেবো না। তিনি বাংলাদেশের স্থপতি। তাকে আমাদের যথযথ সম্মান জানাতে হবে। শুধু তাকে নয় আমাদের সব জাতীয় নেতাকে সম্মান জানাতে হবে। তাদের অন্তর দিয়ে অনুভব করতে হয়।
মীর নিজামুল হক বলেন, আমরা এ অনুষ্ঠান দীর্ঘদিন থেকেই করে আসছি। আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকতে পারে কিন্তু জাতীয় নেতাদের ক্ষেত্রে আমরা এক ও অভিন্ন। আমরা তাদের সম্মান করতে চাই।মোহাম্মদ আলম নমি সবাইকে ধন্যবাদ জানান, এ অনুষ্ঠানকে সার্থক এবং সফল করার জন্য। তিনি বলেন, মানুষের সাহার্য এবং সহযোগিতা ছাড়া আমরা এতো বড় অনুষ্ঠান সফল করতে পারতাম না। তিনি বলেন, আমরা কয়েকটি গরু জবাই করেছি, এক হাজারের মক জায়নামাজ বিতরণ করেছি। সেই সঙ্গে গাছের চারা বিতরণ করেছি।ফাহাদ সোলায়মান বলেন, আমরা যদি আমাদের জাতীয় নেতাদের সম্মান করতে পারতাম এবং তাদের দলীয় সম্পদে পরিণত না করতাম তাহলে আজকে বাংলাদেশের রাজনীতির এ অবস্থা হতো না। তিনি বলেন, ইতিহাসে যার যার সম্মান তাকে দেওয়া উচিত।মামুন মিয়াজী সবাইকে ধন্যবাদ জানান, তাদের পাশে থেকে অনুষ্ঠানকে সফল করার জন্য।অনুষ্ঠানে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করা হয় । আলোচনা শেষে বিতরণ করা হয় খাবার। শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার সংগ্রহ করেন।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন