কনকনে শীতে কাঁপছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ

জাকির হোসেন পিংকু, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ||
শৈত্য প্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মানুষের জীবন যাত্রা। কনকনে শীতে কাঁপছে মানুষ,জীবজন্তু। গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা। সেই সাথে গত শুক্রবার(২৮’ডিসেম্বর) দিনব্যাপী বয়ে যায় প্রায় অনেকটা ঝোড়ো হাওয়া।তবে শনিবার দিনে শীতল বাদাসের প্রবাহ কিছুটা কম ছিল। ভিটেহারা, ছিন্নমুল আর দরিদ্র মানুষ সেই সাথে শিশু,বৃদ্ধ ও অসুস্থরা বেকায়দায় পড়েছেন এই আবহওয়ায়। নদী তীর,চরাঞ্চল আর বাগান ঘেরা অঞ্চলগুলির মানুষেরা বেশী সমস্যায় রয়েছেন। শীতজনিত অসুখ বেড়েছে। বেচাবিক্রি বেড়েছে ফুটপাথের গরম কাপড়ের দোকানগুলিতে। ক্রেতা সব শ্রেণিরই মানুষ।
এমনিতেই নির্বাচনী নিষেধাজ্ঞা, এর সাখে কনকনে শীতে সন্ধ্যা হতে না হতেই সড়কগুলি হয়ে পড়ছে জনশুণ্য। সূর্য়ের আলো দেখা যাচ্ছে বেশ বেলা করে। দিনের দৈর্ঘ্য কম আর রাতের দৈর্ঘ্য বেশী হওয়ায় শীতের কষ্ট এই মৌসুমেই সবথেকে বেশী। সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত কথনও কখনও পড়ছে হালকা কুয়াশা।
জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় তাপমাত্রার সঠিক মাপ জানা যাচ্ছে না। তবে রাজশাহী থেকে আরও উত্তর পশ্চিমে অবস্থিত হওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের তাপমাত্রা সাধারনত: রাজশাহীর তুলনায় কম হয়। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে শনিবার সেখানে তাপমাত্রা দেশে মৌসুমের সর্বনি¤œ ৫.৮ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়। যা তীব্র শৈত্য প্রবাহ নির্দেশ করে। শুক্রবার সেখানে সর্বনি¤œ ৬ ডিগ্রি ও বৃহস্পতিবার ৬.৭ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসে আদ্রতার পরিমান থাকছে শতভাগ। যা শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়েছে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, অঞ্চল জুড়েই সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৫-৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের মধ্যে বিরাজ করছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপপরিচালক মঞ্জুরুল হোদা জানান, সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার তারা ম্যানুয়ালী চাঁপাইনববাবগঞ্জের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী রেকর্ড করেন। যা ক্রমাগত কমছে। তিনি বলেন, প্রকৃত তাপমাত্রা এর চাইতে কম হবে। এদিকে এ বছর শীতবস্ত্র বিতরনের হার গত বছরের তুলনায় অনেক কম। ভোটকে কেন্দ্র করে মানুষজনের রাতে চলাফেরা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কিছুটা থাকলেও শুক্রবার থেকে তা প্রায় নেই।
হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় শহরের শহীদ সাটু হল মার্কেটের নৈশ প্রহরী রবিউল ইসলাম (৬০) সামনের সড়কে কুড়নো কাগজে আগুনের তাপ পোহাতে পোহাতে বলেন,‘ ঠার(ঠান্ডা) খুবই বাইড়েছে। সবটি ভোট লিয়া পাগল। এবার কম্বল পাইনুনা। ভোটের পর যদি পাই।’ তিনি আশা করছেন ভোট শেষে হয়ত শীতবস্ত্র সাহায্য পাবেন।