ঋণ জালিয়াতি: সাইফুজ্জামান-রুকমীলাসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

gbn

ভুয়া বা কাগুজে প্রতিষ্ঠান ‘রিলায়েবল ট্রেডিং’র নামে জাল নথিপত্রে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক চট্টগ্রামের পোর্ট শাখা থেকে ১৫ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রীসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার (৩০ জুলাই) মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে সংস্থাটির মহাপরিচালক আক্তার হোসেন নিশ্চিত করেছেন।

 

মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তার স্ত্রী ও ইউসিবি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমীলা জামান, ইউসিবি ব্যাংকের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বজল আহমেদ বাবুল, সাবেক পরিচালক আনিসুজ্জামান চৌধুরী, আখতার মতিন, বজল আহমেদ বাবুল, ইউনুছ আহমদ, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, আসিফুজ্জামান চৌধুরী, রোকসানা জামান চৌধুরী, বশির আহমেদ, আফরোজা জামান, সৈয়দ কামরুজ্জামান, মো. শাহ আলম, প্রফেসর ড. মো. জোনাইদ শফিক, ড. কনক কান্তি সেন, ড. অপরূপ চৌধুরী ও ব্যাংকটির সাবেক পরিচালক তৌহিদ সিপার রফিকজ্জামান।

অন্য আসামিরা হলেন, ব্যাংকের সাবেক অফিসার আবু হেনা ফখরুল ইসলাম, সাবেক ফার্স্ট ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক ক্রেডিট অফিসার জিয়াউল করিম খান, সাবেক এফএভিপি ও ক্রেডিট ইনচার্জ মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল, সাবেক এফএভিপি ও ম্যানেজার অপারেশন মীর মেসবাহ উদ্দীন হোসাইন, সাবেক ভিপি ও চট্টগ্রাম পোর্ট শাখার প্রধান আব্দুল হামিদ চৌধুরী, মডেল ট্রেডিংয়ের মালিক মোহাম্মদ মিছাবাহুল আলম, ইম্পেরিয়াল ট্রেডিংয়ের মালিক আব্দুল আজিজ ও আরামিট থাই অ্যালুমিনিয়ামের ডিজিএম শাহরিয়ার হোসেন।

 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ‘রিলায়েবল ট্রেডিং’ নামে কোনো বাস্তব প্রতিষ্ঠান না থাকা সত্ত্বেও ইউসিবির চট্টগ্রাম পোর্ট শাখার কর্মকর্তারা যাচাই-বাছাই ছাড়াই একটি হিসাব খুলে দেন। এরপর ওই প্রতিষ্ঠানের নামে টাইম লোনের আবেদন করা হলে, শাখার কর্মকর্তারা মিথ্যা তথ্যসংবলিত পরিদর্শন প্রতিবেদন তৈরি করেন এবং শাখার ক্রেডিট কমিটির সদস্যরা যাচাই ছাড়াই সেই ভুয়া প্রতিবেদনসহ ঋণের সুপারিশ পাঠান প্রধান কার্যালয়ে।

ইউসিবির প্রধান কার্যালয়ের ক্রেডিট কমিটি ঋণ প্রস্তাবে ৯টি নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ থাকা সত্ত্বেও ৪৫৪তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় ঋণটি অনুমোদন পায়। অনুমোদনের পর, রিলায়েবল ট্রেডিংয়ের তথাকথিত মালিক হিসেবে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর আরামিট গ্রুপের একজন কর্মচারীকে সাজানো হয়। তার অনুপস্থিতিতে এবং স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণের পুরো টাকা বিভিন্ন ভুয়া প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর ও রূপান্তর করা হয়।

পরে সেই অর্থ আরামিট সিমেন্ট পিএলসি ও আরামিট থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবে আনা হয়েছে।

 

প্রতারণা, জালিয়াতি, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৪০৬/৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২)(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গত ২৪ জুলাই সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীকে মালিক সাজিয়ে নামসর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠান ভিশন ট্রেডিংয়ের নামে ভুয়া ঋণ অনুমোদন করিয়ে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রী এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও এমডিসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক।

গত ১৭ এপ্রিল ২০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার অভিযোগে সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার স্ত্রীসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করে দুদক। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অস্তিত্বহীন ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং, ক্লাসিক ট্রেডিং ও মডেল ট্রেডিংয়ের নামে ২০ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন