লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে সশস্ত্র মিলিশিয়া নিয়ন্ত্রিত একটি এলাকা থেকে কয়েক ডজন মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর। নিহতদের মধ্যে কিছু মরদেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল, কিছু ছিল হাসপাতালের সংরক্ষিত ফ্রিজে, আর কিছু মাটিচাপা অবস্থায় পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ত্রিপোলির বিভিন্ন আটককেন্দ্রে ‘স্ট্যাবিলাইজেশন সাপোর্ট অথোরিটি (এসএসএ)’ নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই গোষ্ঠীর কমান্ডার আবদেল-গানি আল-কিকলি গত মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে মিলিশিয়াদের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হন।
জাতিসংঘ দপ্তর জানায়, পরে তাদের কাছে তথ্য আসে, ত্রিপোলির আবু সলিম এলাকায় এসএসএর প্রধান কার্যালয় থেকে ১০টি আগুনে পুড়ে যাওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া আবু সলিম এবং আল খাদরা হাসপাতালের ফ্রিজ থেকে আরও ৬৭ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ত্রিপোলি চিড়িয়াখানায় একটি গোপন কবরস্থানেরও খবর পেয়েছে জাতিসংঘ, যা এসএসএর নিয়ন্ত্রণে ছিল বলে অভিযোগ।
তবে উদ্ধার হওয়া মরদেহগুলোর পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভলকার তুর্ক বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের আশঙ্কাই এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে—এসব স্থানে ডজনখানেক মরদেহ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সন্দেহভাজন নির্যাতনের যন্ত্র, মানবাধিকার লঙ্ঘনের আলামত এবং বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সম্ভাব্য প্রমাণ মিলেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রমাণ সংরক্ষণের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলো সিলগালা করা জরুরি। এই হত্যাকাণ্ডের দায় নিরূপণে এবং বিচার নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
জাতিসংঘ এই এলাকায় সরাসরি প্রবেশাধিকার চেয়ে বলেছে, তারা ঘটনাস্থল ঘুরে দেখতে চায় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য নথিভুক্ত করতে চায়।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন