বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান সভাপতি ফারুক আহমেদ তার পদে থাকবেন নাকি থাকবে না, সেটিই এখন প্রশ্ন। আছে গুঞ্জনও।
কয়েকদিন আগেও ব্যাংকে বিসিবির অর্থ রাখা নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন ফারুক। সেই বিতর্ক কমেছে কিছুটা। হঠাৎ কী হলো যে, ফারুক আহমেদের বোর্ডে থাকা নিয়েই সংশয় শুরু হলো!
খুব জানতে ইচ্ছে করছে তাই তো? তাহলে শুনুন- ফারুক আহমেদেকে সরিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সমেয়ের জন্য বিসিবিপ্রধানের পদে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে বসানোর চিন্তা ভাবনা চলছে। যদিও শোনা যাচ্ছে, আমিনুল ইসলাম পারিবারিক কারণেই বাংলাদেশ এসেছেন।
ঘনিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৬ এপ্রিল স্ত্রীকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশে আসার পর আগামী ২ জুন বুলবুল ফিরে যাবেন অস্ট্রেলিয়া। বর্তমানে বুলবুলের স্ত্রী তার পিত্রালায় যশোরে অবস্থান করছেন।
কিন্তু ২ জুনের আগে নাটকীয়ভাবে বিসিবিপ্রধান হয়ে যেতে পারেন বুলবুল। গতকাল বুধবার দিবাগত গভীর রাতে ক্রিকেটাপাড়ায় উঠেছে এমন আভাস। ফারুক ও আমিনুল ইসালামের সঙ্গে কথা বলেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ক্রীড়া উপদেষ্টা ফারুক আহমদেকে সরিয়ে বুলবুলকে বিসিবিপ্রধান বানানোর কথা ভাবছেন এবং বলেছেন।
জানা গেছে, বুলবুল ও ফারুক দুজনই কিছু শর্ত দিয়েছেন। যেহেতু আইসিসির গুরুত্বপূর্ণ পদে চাকরি করে বুলবুল মোটা অংকের টানা পান, তাই বিসিবিতে তিনি বিনা বেতনে কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। জানা গেছে, বুলবুল বিসিবির কাছে ১২ লাখ টাকা দাবি করেছেন।
ওদিকে ফারুক প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ঘনিষ্ঠজনদের কাছ থেকে জানা গেছে, ফারুকের কথা একটাই। তিনি বলেছেন, ‘আমাকে তো এনএসসি কোটায় বোর্ডে এনেছেন। এখন আমাকে মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে সরানো হবে কেন?’
জানা গেছে, ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে অক্টোবর পর্যন্ত তাকে বিসিবিতে রাখার দাবি করেছেন ফারুক। তাৎক্ষণিকভাবে ফারুকের এই দাবির প্রেক্ষিতে কিছুই বলেননি ক্রীড়া উপদেষ্টা।
ফারুক দাবি জানিয়ে আরও বলেছেন, ‘আমাকে যদি সরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে যারা স্বৈচারারের দোসরদের সঙ্গে নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ডেও যারা ছিলেন, তারা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। তাদের কেন সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে না? তাহলে সব দোষ আমার একাই? সে বিষয়ে সরকারের চিন্তা ভাবনা কী?’
জানা গেছে, ফারুক ও বুলবুলের সাথে ক্রীড়া উপদেষ্টার বৈঠক সেখানেই মুলতবি ছিল। অন্যদিকে অক্টোবর পর্যন্ত বোর্ডপ্রধান হিসেবে রাখার দাবি অব্যাহত রেখেছেন ফারুক।
তারপরও যদি ফারুককে সরে যাওয়ার জন্য বলা হয়, তাহলে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন বা করবেন। অন্যথায় ফারুকও পদ ধরে রাখতে অনড়।
তবে শেষ কথা হলো- শুধু ক্রীড়া উপদেষ্টাই নন, বিসিবিপ্রধান মনোনয়নের ক্ষেত্রে সরকারের সর্বোাচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপও হতে পারে।
কারণ, এমনিতেই ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথ নিয়ে ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের একটি বিতর্ক চলছে। সেটি নিষ্পত্তি না হতেই ফারুককে সরিয়ে আরেকজনকে বোর্ডপ্রধান পদে বসালে নতুন বিতর্ক শুরু হতে পারে।
জানা গেছে, সেটাও খুুটিয়ে দেখছেন আসিফ মাহমুদ। এরকম অবস্থায় তিন মাসের জন্য ১২ লাখ টাকা বেতনে বুলবুলকেই প্রথম ‘পেইড বিসিবিপ্রধান’ নিয়োগ দেওয়া হবে কিনা, সেটিই বড় প্রশ্ন।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন