ইউএনও মফিজের তুঘলকি কা ন্ড!

gbn

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুনামগঞ্জ //

সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মফিজুর রহামানকে অপসারণের দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে।

 

 

 

মফিজুর রহামানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে রোববার সকালে উপজেলার কারেন্টের বাজার এলাকায় বিশ^ম্ভরপুর উপজেলাবাসীর ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

 

মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রজনতা। মিছিলটি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে যাওয়ার পথে মাল্টিপারপাস সেন্টারের সামনে পৌঁছালে বাঁধা দেয় কিছু সংঘব্ধ লোক। এসময় লাঠি সোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রজনতার উপর হামলা চালায় তারা। এই ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ হামলাকারীরা বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত।

 

 

তারা ইউএনও‘র পক্ষ নিয়ে মানববন্ধন বানচাল ও পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। এদিকে হামলা ভিডিও ধারণের সময় সাংবাদিকদের দিকে তেড়ে এসে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে হামলাকারীরা । সংবাদ সংগ্রহকালে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে অশুভন আচরন করে কিছু যুবক।

 

 

আন্দোলনকারীরা জানান, পতিত সরকারের আমলে পদায়ন পাওয়া ইউএনও মফিজুর রহমান বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার পর্যটন খাত ধ্বংস করে দিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারী ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বালু মহাল, সীমান্তে চোরকারবারীদের আশ্রয় পশ্রয় দিয়ে আসছেন। এমন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এলাবাসী সোচ্চার হয়েছে। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচী চলাকালে ইউএনও তাঁর সিন্ডিকেটের লোকদের দিয়ে হামলা করেছেন। হামলাকারীদের বিচার ও ইউএনও মফিজুর রহমানের অপসারণে আগামী ৪৮ ঘন্টা আল্টিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।


বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে হামলা শিকার মো. শফিকুল ইসলাম নামের এক আন্দোলনকারী বলেন, ইউএনও  মফিজুর রহমান এলাকার পর্যটন খাত ধ্বংস করে দিয়েছেন। সে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। আমরা এ ব্যাপারে দুদকে অভিযোগ করেছি। রবিবার দুপুরে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল নিয়ে উপজেলায়  যাচ্ছিলাম। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে ইউএনও‘র লোকজন আমাদের উপর হামলা করেছে। আমিসহ আমাদের  অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। ইউএনও যে তুঘলকি কান্ড ঘটিয়েছেন তাঁর জন্য তাঁকেসহ হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে অপসারণ না করলেও আমরা তীব্র আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হবো।

 

 

এদিকে হামলা দেশী অস্ত্র নিয়ে অংশ নেয়া সোহাগ তালুকদার নিজেকে উপজেলা যুবদলের সাবকে ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বলেন, আমরা এই মানববন্ধন ঠেকাতে আসছি। ইউএনও‘র বিরুদ্ধে উপজেলায় এসে মানববন্ধন করবে তা আমরা মেনে নিতে পারবো না। আন্দোলনকারীরা আওয়ামীলীগের দোসর বলে জানান তিনি।

 

তবে হামলার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মফিজুর রহমান বলেন, কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মানববন্ধন করেছে। এলাকাবাসী তা মানতে পারছে না।  তাই সচেতন এলাকাবাসী তাদের মানববন্ধন প্রতিহত করেছে। তারা চায় আমি যেনো এখানে থাকি।

 

 

অপরদিকে মানববন্ধনে হামলার সাথে জড়িতদের বিচারের পাশাপাশি আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অপসারণের দাবি  জানিয়ে বিকালে শহরে এক সংবাদ সম্মলেন করেছে ছাত্রজনতা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অপসারণ করতে জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নেতৃবৃন্দ। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শফিকুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী সুনামগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক ইমন দোজা, জেলা যুব অধিকার নেতা তিমন চৌধুরী প্রমুখ।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন