মৌলভীবাজারের বড়লেখায় সম্মেলনে ঘোষিত বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদককে প্রত্যাহারের দাবিতে বিক্ষোভ

gbn

জিবিনিউজ 24 ডেস্ক //

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় রোববার (০৬ ডিসেম্বর) উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে ঘোষিত সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সহিদ খানকে প্রত্যাহারের দাবিতে এক বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। রোববার রাত ৯টার দিকে উপজেলা যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবকদল ও শ্রমিক দলের একাংশ পৌরশহরে এ বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

 
বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকন, সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির পলাশ, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য ফয়ছল আহমেদ সাগর, উপজেলা যুবদল নেতা জুবের আহমদ, রুহেল আহমদ, আমান হাছান, এবাদুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান, মিছবা উদ্দিন, জামিল আহমদ, জালাল আহমদ, সুমন আহমদ, গালিব আহমদ চৌধুরী, ময়ূর হোসেন, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দল নেতা রায়হান মো. মুজিব, জাহিদ উদ্দিন, সুমন আহমদ, শরিফ উদ্দিন ইমন, পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম মতিন, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব এম আরিফুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক, এবাদুর রহমান বাপ্পি, সদস্য জবলু হোসেন, আক্তার হোসেন রেদোয়ান, আছাদ আহমদ, এ এইচ আনোয়ার, তাহের আহমদ, খায়রুল ইসলাম শুভ, পৌর ছাত্রদল আহবায়ক ফাহিম আহমদ, যুগ্ম আহবায়ক রাসেল আহমদ, সদস্য আশরাফুল ইসলাম, মারুফ আবির, সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি জাফর আহমদ, শ্রমিক দলের সভাপতি আলাউদ্দিন প্রমুখ।


এ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা যুবদলের সহসাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির পলাশ বলেন, সম্মেলনে সবার উপস্থিতে মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এম. নাসের রহমান বড়লেখা উপজেলার বিএনপির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন। পরে ফেসবুকে দেখি আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সহিদ খানকে আবার সাংগঠনিক পদ দেওয়া হয়েছে বলে ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে। পরে জেনেছি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সম্পাদক যাওয়ার সময় গাড়িতে বসে আব্দুস সহিদ খানকে সাংগঠনিক সম্পাদক নতুন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। এটা দলের সবার অগোচরে করা হয়েছে। যার কারণে আমরা কেউ বিষয়টি জানতে পারিনি। জানলে আমরা আপত্তি জানাতাম। তিনি বলেন, আমরা তাঁকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে মানি না। আমরা তাঁকে  (আব্দুস সহিদ খান) উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিকের সম্পাদক পদ থেকে প্রত্যাহারে দাবি জানাই।


জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সহিদ খান বলেন, বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলের মাধ্যমে সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু অন্য পদগুলোতে ভোট হয় না। আর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদ দুটি। সে হিসেবে এই পদে ভোট হয়নি। আর আমি আগের কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। আমার কাজের একটিভিটি দেখে জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ একমত হয়ে দলের গঠনতন্ত্র মেনে আমাকে পুনরায় সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেছেন। জেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদক চাইলে যেকোনো সময় অন্যপদে যে কারও নাম ঘোষণা করতে পারেন। এটা সাংগঠনিকভাবে তাদের অধিকার রয়েছে। তিনি বলেন, বিএনপির একটি গঠনতন্ত্রাতিক রাজনৈতিক দল। এই দলে একটি পদের বিপরীতে একাধিক প্রার্থী থাকা স্বাভাবিক। হয়তো অন্য প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা কাঙ্খিত পদ না পাওয়ায় তারা মনক্ষুন্ন হয়েছেন। সময়ের ব্যবধানে সব ঠিক হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।  


মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান বলেন, বিক্ষোভ মিছিলের বিষয়টি আমার জানা নেই। সম্মেলনে সবার উপস্থিতেই সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তখন তো কেউ সেখানে আপত্তি করেনি। পরে হয়তো কেউ তাদেরকে উস্কানি দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করিয়েছে।


প্রসঙ্গত, চার বছর পর রোববার (০৬ ডিসেম্বর) বড়লেখার একটি কনভেনশন হলে উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুল হাফিজ ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মুজিবুর রহমান খসরু এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক আব্দুস সহিদ খান। সর্বশেষ ২০১৬ সালে বড়লেখা উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন