সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি ও জাতীয় ঐক্য রক্ষা সকলকে সচেতন থাকার আহŸান জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মন্তব্য করে বলেছেন, স্বৈরাচার উল্লেখ সরকারের পতন নিশ্চিত করে ছাত্র-জনতার বিজয়ের পর দেশবাসীকে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যর্থতা হলে জাতিকে চরম মাসুল দিতে হবে। একটি সোনার বাংলা বিনির্মাণের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক জনতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, একটি মহল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর ষড়যন্ত্র করছে। এসময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর জন্য একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। বিশেষ করে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয়, ঘরবাড়ি ও সহায়-সম্পত্তির ওপর হামলা করে দেশে একটি নৈরাজ্যের পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
তারা আরো বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং লুটতরাজ ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ড বন্ধ করতে জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সর্বস্তরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে এ ধরনের কোনো পরিস্থিতি কেউ যাতে তৈরি করতে না পারে এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপর কোনো ধরনের হামলা করতে না পারে, সে জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, দেশকে বাঁচাতে একযোগে কাজ করতে হবে। পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে ও প্রতিহিংসার ঊর্ধ্বে উঠে দেশকে এগিয়ে নিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখাতে হবে। নানা বিষয়ে মতপার্থক্য ও আদর্শের ভিন্নতা থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেশের উন্নতি ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে সবাই একযোগে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই। আর তা না করতে পারলে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে সক্ষম হব না।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন