১০০ বছর পর ঐতিহাসিক মসজিদ আবার খুলে দিল গ্রিস

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা একটি মসজিদ আবার খুলে দিয়েছে গ্রিস। স্থানীয় সময় গত বুধবার নামাজ আদায়ের জন্য গ্রিসের উত্তরের শহর থেসালোনিকিতে অবস্থিত ঐতিহাসিক মসজিদটি খুলে দেওয়া হয়। গ্রিসে ঠিক ১০০ বছর আগে মুসলিমরা যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর অনেক মসজিদ বন্ধ করে দেয় অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা। তার মধ্যে অন্যতম গ্রিসের এই ঐতিহাসিক ‘ইয়েনি জামে মসজিদ’।

 

মসজিদটি খোলার পর প্রায় ১০০ জন ইয়েনি মসজিদে নামাজে অংশ নেন। ১৯২০ সালের গোড়ার দিকে শেষবার এখানে নামাজ আদায় করা হয়েছিল। অটোম্যান শাসনামলে মসজিদটি তৈরি হয়েছিল মূলত ডনমেহ সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য। যারা ইহুদি থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

১৯২৩ সালে গ্রিস এবং তুরস্কের মধ্যকার চুক্তি অনুসারে বিনিময় হয় দুই দেশের সংখ্যালঘু মুসলিম ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় মসজিদটিতে মুসলিমদের প্রার্থনা।

 

৬৬ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত আসবাবপত্র প্রস্তুতকারক ইসমায়েল বেদ্রেদিন বলেছেন, ‘আমরা ভাগ্যবান যে মসজিদটি আমাদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।’

২৩ বছর বয়সী অর্থনীতির একজন তুর্কি ছাত্র বলেছেন, ‘আমি থেসালোনিকিতে চার বছর ধরে বসবাস করেছি এবং এই প্রথমবার আমি আমার মুসলিম পরিবারের সঙ্গে প্রার্থনা করার সুযোগ পেয়েছি।

’ নামাজ আদায়ের সময় গ্রিক পুলিশ মসজিদটির পাহারায় ছিল।

 

দ

১৯০২ সালে ইতালিয়ান স্থপতি ভিতালিনো পোসেলির হাত ধরেই গড়ে ওঠে অনন্য নিদর্শনটি। সেই সময়ে ডনমে ইহুদিরা ব্যবহার করত, যারা ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছিল। ১৯২২ সালে গ্রিক-তুর্কি যুদ্ধের সময় উদ্বাস্তুদের থাকার জন্য দুই তলা ভবনটি সংক্ষিপ্তভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে এটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর এবং পৌর গ্যালারি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

 

ইউরোপের দেশ গ্রিসের অধিকাংশই অর্থোডক্স খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশটিতে মুসলিমদের জন্য ছিল না কোনো মসজিদ। বর্তমানে মোট জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। গ্রিসের মসজিদগুলো প্রধানত থ্রেস-এ অবস্থিত। গ্রিক-তুর্কি সীমান্তের কাছে অবস্থিত দেশের উত্তর-পূর্বের এই অঞ্চলটিতে শতাব্দীপ্রাচীন মুসলিম সংখ্যালঘুদের আবাসস্থল।

জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন