আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ইসলামাবাদের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত। শনিবার (৫ আগস্ট) দণ্ড ঘোষণার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দুর্নীতির দায়ে গ্রেপ্তার ও দণ্ড দেওয়ার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলেছে, এটি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
ইমরান খানের গ্রেপ্তারের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ইমেইল করেছিল সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ।
এই ইমেইলের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘ইমরান খান ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের বিষয়গুলো পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা গণতন্ত্রের মূলতন্ত্র এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানাই, যে আহ্বান আমরা পুরো বিশ্বেই জানাই।’
এদিকে গত বছর আস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারান ইমরান খান। ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই এর জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছিলেন তিনি। ইমরানের দাবি ছিল, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে মার্কিনিরা ষড়যন্ত্র করেছে। যা শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় রাষ্ট্রীয় কোষাগার তোশাখানা থেকে সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করার অভিযোগে শনিবার ইমরানকে তিন বছরের দণ্ড দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিদেশি রাষ্ট্রীয় প্রধানদের কাছ থেকে পাওয়া দামি জিনিসপত্র নিয়ে সেগুলোর তথ্য গোপন করেছেন তিনি।
এদিকে ইমরানকে এর আগে গত ৯ মে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই সময় পুরো দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল। তবে গতকাল তাকে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে গেলেও তার দলের নেতাকর্মীদের মাঠে নামতে দেখা যায়নি। এর বদলে এই দণ্ডের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের দারস্থ হয়েছেন তারা।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন