সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি,
ছাতকে সরকারি লিজকৃত শর্ত ভঙ্গ করে
তারাবিলের পানি শুকিয়ে মৎস্য আহরণ অবশেষে বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগ গত ২২ সালে ৮ নভেম্বর মাসে মিজানুর রহমান চৌধুরী,রফিজ আলী,ইউসুফ আলী,নুরুল হক সিরাজ আব্দুল আহাদ চৌধুরী,হাবিবুর রহমান,বিল্লাল হোসেন আবু সুফিয়ান সুহেল আহমদ সহ তিনশতাধিক
কৃষকদের স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ করেন সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নিবাহী কর্মকতা বরাবরে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত রোববার বিকালে সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ইসলাম উদ্দিন ঘটনাস্থলে পৌছে পানি সেচের ২টি পাম্প বন্ধ করে দেয়। তিনি বন্ধ আসার কয়েক ঘন্টার পর গভীর রাতে পানি সেচের ২টি পাম্প চালু করছেন সারলিজ কারীরা।
জানা যায়,ছাতক সদর ইউনিয়নের কুরিয়া মৎসজীবী সমবায় সমিতির নামে তারাবিল জলাশয় সরকারিভাবে লিজ গ্রহন করেন সমিতির সহ-সভাপতি উপেন্দ্র বিশ্বাস। জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০০৯ এর ৩০টি শর্ত মধ্যে ১৪টি শর্ত ভঙ্গ করে জলমহালটি টাকার বিনিময় সাবলিজ প্রদান করেন সমিতির লোকজন। এ ঘটনায় এলাকাজুড়েই ব্যাপক তোলপাড় চলছে। অধিক লাভবান হওয়ার প্রত্যাশায় সাব লিজ গ্রহিতারা মৃত মধু মিয়ার ছেলে শাহ আলম, মৃত হোসেন আলীর ছেলে মুশাহিদ আলীসহ ১২জন ব্যক্তি নেন। তারা সাবলিজ গ্রহিতারা বিলের পাড়ে পাম্প বসিয়ে পানি শুকিয়ে মৎস্য আহরণ করছেন।
এ উদ্দেশ্যে গত ক’ দিন ধরে পাম্প দিয়ে বিলের পানি অপসারন করছেন সাব লিজ গ্রহিতারা। ফলে বিলের আশপাশের তিন শতাধিক একর বোরো জমিতে পানি সেচ দিতে পারবেনা কৃষকরা। বোরো ক্ষেতের ক্ষতি থেকে রক্ষার দাবিতে গত ১২ মার্চ পাম্প বসিয়ে বিলের পানি শুকিয়ে মাছ ধরা বন্ধ রাখতে এলাকাকাসির পক্ষে ছাতক থানায় লিখিত অভিযোগ করেন রহমত আলী। তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছে ২টি সেচ পাম্প মেশিন বন্ধ করেছে পুলিশ।
প্রশাসনের বাধা বিপত্তি ডিঙ্গিয়ে আবারো মেশিন চালু করে পানি নিস্কাশন অব্যাহত রাখে বিলের সাব ইজারা গ্রহিতা।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে উপজেলা কৃষি ও মৎস্য কর্মকর্তা অভিযোগের তদন্ত করে এর সত্যতার প্রমান মিলছে।
এব্যাপারে সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ইসলাম উদ্দিন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বিলের পানি শুকিয়ে মৎস্য আহরণের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃনুরের জামান চৌধুরী জানান, জলাশয় শুকিয়ে মাছ ধরা আইনত দন্ডনিয় অপরাধ। ##

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন