বাগেরহাটে শরণখোলায় পুলিশ কনেষ্টবলের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ৪টুকরা !

gbn


শেখ সাইফুল ইসলাম কবির:বাগেরহাটের শরণখোলায় এক পুুলিশ সদস্য তার ৬মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ৪টুকরা করে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৮ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) রাতে শরণখোলা উপজেলার তাফালাবাড়ী  বাজারের একটি ভাটিয়া বাসায়।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সুত্র জানায়,  স্থানীয় তাফালবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির কনেষ্টবল  মোঃ সাদ্দাম হোসেন (৩৫), তার দ্বিতীয় স্ত্রী  জোসনা বেগম (৩০), কে নিয়ে তাফালবাড়ী বাজারের বাসিন্দা বেলায়েত তালুকদারের বাসায় বসবাস শুরু করে ।  পারিবারিক কলহের জের ধরে সাদ্দাম ও তার স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো । পসের রুমের ভাড়াটিয়ারা গত কয়েক দিন ধরে না  থাকার সুযোগ সাদ্দাম  (বৃহস্পতিবার) গভীর রাতে তার ৬মাসের অন্তসত্বা স্ত্রী জোসনা বেগম (৩৫)কে  নৃশংস ভাবে হত্যা করে। হত্যার পর তার মৃতঃ দেহ থেকে মাথা, দু’ হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন  পেট কেটে  ৪ টুকরা করে  এবং তার বাচ্চা বের করে আনে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে শরণখোলা থানা পুলিশ  (শুক্রবার) ভোর রাতে সাদ্দামের ওই ভাড়াটিয়া  বাসা থেকে জোসনার বস্তাবন্ধী মৃত দেহ উদ্ধার করেন এবং পুলিশ কনেষ্টবল সাদ্দামকে আটক করেন।  খবর পেয়ে ওই রাতেই জেলা পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার রায় সহ পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।  তবে, এ ঘটনায়  নিহত জোসনার মা জুলেঘা বেগম বাদী হয়ে ৯ অক্টোম্বর (শুক্রবার) শরণখোলা থানায়  ঘাতক সাদ্দামের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। জুলেখা বেগম জানায়, প্রেম করে গত এক বছর পূর্বে সাদ্দাম তার মেয়েকে বিবাহ করেন। জোসনার বাড়ী খুলনা জেলার রূপসা থানার চানপুর গ্রামে। সে ওই গ্রামের আবু বকর শেখের কন্যা।  এছাড়া ঘাতক সাদ্দাম সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানার বড়দল গ্রামের বাসিন্দা আঃ লতিফের ছেলে। সে ২০১৩ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। গত তিন মাস পূর্বে ফকিরহাট থেকে তাফালবাড়ীর  ওই পুলিশ ফাঁড়িতে যোগদান করেন। শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাইদুর রহমান জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। তবে, সাদ্দাম তার স্ত্রীকে হত্যার কথা প্রাথমিক জিঞ্জাসা বাদে  ভাবে স্বীকার করেছেন ।####

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন