বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ ( হবিগঞ্জ) থেকেঃ- নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি রাকিল হোসেন ও তার ভাগনা ভাগনির উপর শালিস বৈঠকে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার মুলহুতা লন্ডন প্রবাসী আনোয়ার হোসেন কামাল ও একাধীক মামলার আসামী সিরাজুল ইসলামকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার দুপুরে মামলার এজহারভোক্ত আসামীরা হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
জানাযায়, লন্ডন প্রবাসী আনোয়ার হোসেন কামাল প্রেসক্লাব সভাপতি রাকিল ও তার ভাগনা স্বপন আহমেদের জায়গা জোরপূর্বক দখল নেয়। এ নিয়ে গত ২০ মে বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের প্রজাতপুর গ্রামের বাবলু আহমেদের বাড়ীতে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে শালিস বৈঠক বসে। উক্ত বৈঠক চলাকালীন সময়ে কামালের নির্দেশে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সিরাজুল, দুরুদ, জামাল, কাছাব উদ্দিনসহ ১৫/১৬ জন লোক দেশীয় অস্ত্র দা, লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। এতে বিচারকরা পালিয়ে যান।
একতরফা হামলায় আহত হন নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি রাকিল হোসেন, তার ভাগনী রোকসানা বেগম, ভাগনা নোমান আহমেদ, রাফায়েল ও সালামীন। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে নবীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের অবস্থার বেগতি দেখে তাৎক্ষণিক ভাবে
আহতদের সিলেট ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা করেন।
এ ব্যাপারে স্বপন আহমেদ বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাওছার আহমেদ তাৎক্ষণিক ভাবে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত জামাত নেতাকাজী ছলিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার পর হামলাকারী আনোয়ার হোসেন কামালসহ ৭ জন হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের অগ্রীম জামিন আনেন। তাদের জামিনের মেয়াদ শেষ হলে উপরোল্লিখিত তারিখে তারা হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত ঐ দুই জনের জামিন নামঞ্জুর করেন।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি রাকিল হোসেন দু' জন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, একটি শালিস বৈঠকে এমন ন্যাক্কারজনক হামলা খুবই দু:খজনক। আমি তাদের সর্বচ্ছ বিচারের দাবী জানাচ্ছি। যাহাতে আর কেউ সামাজিক বিচার পঞ্চায়েতে এর ঘটনা না ঘটায়।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন