জিবিনিউজ 24 ডেস্ক//
লেবার নেতা কিয়ার স্টারমার বলেছেন, লকডাউনের আইন ভঙ্গের কারণে পুলিশ তাঁকে জরিমানা করলে তিনি পদত্যাগ করবেন। দলের ডেপুটি লিডার এঞ্জেলা রেইনার বলেছেন, তিনিও পদত্যাগ করবেন, যদি তাঁকে পুলিশ জরিমানা করে। গত শুক্রবার থেকে চাপে আছেন লেবার নেতা। সেদিনই এই ভিডিও ফুটেজের ব্যাপারে তদন্ত করবে বলে জানায় ডারহাম পুলিস। এটি একটি ইনডোর পার্টি। পার্টিতে ছিল বিয়ার এবং কারি। গত বছরের এপ্রিল মাসে হার্টলিপুলের উপ-নির্বাচনের প্রচারণায় গিয়ে এই পার্টিতে যোগ দেন কিয়ার স্টারমার। লেবার নেতা বরাবরই বলে আসছেন, তিনি কোভিডের আইন ভঙ্গ করেননি। সোমবার তিনি আরও একধাপ এগিয়ে এসে বললেন, পুলিস তাঁকে জরিমানা করলে তিনি পদত্যাগ করবেন।
বরিস জনসনের বিপরীতে নিজের অবস্থানকে সংহত দেখাতে অনেকটা জুয়া খেলার ঝুঁকি নিলেন লেবার নেতা।
লেবার দলের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, দিনের কার্যসূচিতেই বিয়ার এবং টেইকওয়ে কারির কথা উল্লেখ আছে।
ডাউনিং স্ট্রীটে লকডাঊন আইন ভঙ্গের অভিযোগ পুলিশ তদন্ত করতে শুরু করার সাথে সাথে কোনো বিলম্ব না করে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন স্যার কিয়ার স্টারমার।
সোমবার ডাউনিং স্ট্রীটে ব্যবসায়ীদের সাথে এক অনুষ্ঠানে বেশ আনন্দে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। লকডাউনের আইন ভঙ্গের দায়ে পদত্যাগের কোনো চিন্তা-ভাবনা তাঁর মধ্যে দেখা যায়নি। পুলিস তাঁকে ইতোমধ্যে একটি জরিমানার নোটিস পাঠিয়েছে। সেটি তিনি পরিশোধও করেছেন। পুলিস এখনও আরও অভিযোগ তদন্ত করছে। এদিকে লেবার নেতার বিরুদ্ধে লকডাঊন আইন ভঙ্গের অভিযোগ তীব্র হলেও সরকারের মন্ত্রীরা তাঁকে ভণ্ড ডেকেই ক্ষান্ত হচ্ছেন, লেবার নেতাকে পদত্যাগ করতে বলছেন না।
নিজের ক্যারিয়ারকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়ে লেবার নেতা কিয়ার স্টারমার প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ওপর চাপ আরও বাড়িয়েছেন। ডারহাম পুলিশের হাতে এখন অনেক বড় একটি সিদ্ধান্ত।

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন