মেট্ররেলের পুরো কাঠামো দৃশ্যমান

gbn

জিবি নিউজ 24 ডেস্ক //

অবশেষে বহুল প্রতীক্ষিত রাজধানীর উত্তরা দিয়াবাড়ী থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের শেষ ভায়াডাক্টটি বসানো হয়েছে। এর ফলে দৃশ্যমান হয়েছে মেট্রোরেলের সম্পূর্ণ কাঠামো।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থিত পিয়ার নং ৫৮২ ও ৫৮৩-এর সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দুই অংশের ভায়াডাক্টটি বসানো হয়।

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণের দায়িত্বে নিয়োজিত ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ।

 

পিয়ারগুলোর ওপরে যে কংক্রিটের কাঠামো বসিয়ে যোগসূত্র তৈরি করা হয় তাকে বলে ভায়াডাক্ট। ভায়াডাক্টের ওপরই বসবে রেললাইন, তার ওপর দিয়ে চলবে বৈদ্যুতিক ট্রেন। ডিএমটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক বলেন, মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন ৬-এর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত লাইনের ইরেকশন সম্পন্ন হয়েছে। এর সার্বিক গড় অগ্রগতি ৭৪ শতাংশ।

তিনি আরো বলেন, মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত অংশে ভূমি অধিগ্রহণ কাজ চলছে। আমাদের টার্গেটের কোনো পরিবর্তন হয়নি। প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ ও বাহিরের স্থানগুলো যেন নাগরিকরা স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশে চলা যায়, সে জন্যই অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। সেটি মূল প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত নয়।

উল্লেখ্য, মেট্রোরেলে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত থাকছে ১৬টি স্টেশন। উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের ৯টি স্টেশনের কাজ শেষ পর্যায়ে। বাকি সাতটি স্টেশনের কাজও বিভিন্ন পর্যায়ে চলমান। এ পর্যন্ত দেশে এসেছে ১০ সেট ট্রেন। প্রতি সেট ট্রেনে ছয়টি করে কোচ রয়েছে।

এদিকে মেট্রোরেলে যে ১৬টি স্টেশন থাকছে, এর নিচে পর্যাপ্ত জায়গা নেই. যার ফলে যাত্রীরা সহজে ওঠানামা করতে পারবেন না বলে মনে করছেন প্রকল্পের কর্মকর্তারা। এ জন্য স্টেশনের আশপাশে বাড়তি জমি অধিগ্রহণ করে যাত্রীদের চলাচল সহজ করা এবং পাশের ফুটপাত উন্নত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর বাইরে উত্তরাসহ কিছু স্টেশন ঘিরে আয়বর্ধক অবকাঠামো নির্মাণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। নির্মাণ ব্যয়ের মতোই সরকারের এ মেগাপ্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার খরচও তুলনামূলক বেশি। ফলে কেবল যাত্রী পরিবহণ করে মেট্রোরেলের ব্যয় মেটানো কঠিন হবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। এ জন্য বাড়তি আয়ের লক্ষ্যে বিপণিবিতান, হোটেল, বিনোদনকেন্দ্রসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

প্রসংগত, মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এখন প্রকল্পের কাজে আরও কিছু বিষয় যুক্ত করা হচ্ছে। ফলে আরও সাড়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন