বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

gbn

সৈয়দ নাজমুল হাসান, ঢাকা ||

গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মাধ্যমে পালন করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সংগঠনের সর্বোচ্চ অভিভাবক ও  গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী । সকাল সাড়ে ৭টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কাটার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শুভ সূচনা হয়। ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য সকাল ১০টায় কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচীর শুভ সূচনা করেন। 

এদিকে বেলা চারটায় রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) এ ছাত্রলীগ অায়োজন করে অালোচনা সভার। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সংগঠনের সর্বোচ্চ অভিভাবক, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্তিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক সাংসদ ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান হৃদয়সহ ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতৃবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি সত্যি গর্বিত ছাত্রলীগকে নিয়ে। যখন আহ্বান করলাম, আমাদের ছাত্রলীগের ছেলেরা নেমে পড়ল ধান কাটতে। আমাদের কৃষক লীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগ আওয়ামী লীগ তারাও নেমেছে কিন্তু তারাই পথ দেখিয়ে এগিয়ে যায়। আর এজন্যই ছাত্রলীগ বয়সেও আওয়ামী লীগ থেকে বড়। যখনি যে কথা বলেছি তোমরা সে কথা শুনছো। তোমাদেরকে আন্তরিক দোয়া আর্শীবাদ ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো কাজকে ছোট করে দেখবে না। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সবচেয়ে বেশী রক্ত দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। শিক্ষা শান্তি প্রগতি এই মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে পথ চলতে হবে।ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জাতির পিতা লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা এবং আমার দেখা নয়া চীন বইগুলো পড়তে হবে বেশি বেশি।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা মুজিববর্ষ উদযাপন করছি, আমাদের লক্ষ্যই ছিল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মধ্যে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করবো। বাংলাদেশ অন্তত পক্ষে উন্নয়নের একটা পর্যায়ে যাবে। সে পর্যায়টা আমরা অর্জন করেছি। জাতির পিতা যুদ্ধবিধস্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলে স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে তৈরি করে দিয়েছিলেন। আজকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি। ২০২৪ সাল পর্যন্ত এটা ধরে  রাখতে হবে।করোনাভাইরাসের কারণে আমরা কিছুটা থমকে গেছি। তবে আমি এইটুকু বলবো, সংগঠনটা হচ্ছে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই করোনা ভাইরাসে আমাদের ছাত্রলীগ অনবদ্য  ভূমিকা রেখেছে। সেজন্য ছাত্রলীগের প্রত্যেকটা নেতাকর্মীকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য। 

gbn

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন