প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, সরকার থেকে গণভোট নিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পেলে তারপর সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একইদিন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের গণভোট নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ইসির মতামত কী, চ্যালেঞ্জ হবে কিনা, সংসদ নির্বাচনের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এখানে আমি সংলাপে ছিলাম।
আমি বক্তব্য শুনিনি। কী বলেছেন, না বলেছেন আমি জানি না। যেহেতু আমি শুনিনি, বিস্তারিত না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। আমরা ফরমালি বিষয়গুলো জানলে, এক্সারসাইজ করে, সবাই বসে কমিশনে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের মতামত দিতে পারব।
এখন মতামত দেওয়া যথার্থতা হবে না। আমি বক্তৃতাটাই শুনিনি আসলে। আমি মতামত দিতে চাই না।
এদিকে ইসি কর্মকর্তারা জানান, একসঙ্গে দুটি নির্বাচনে কিছু সুফল রয়েছে।
এতে নতুন করে কোনো আয়োজন করতে হবে না। ফলে আলাদা করার চেয়ে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ব্যয় কম হবে। কেননা, একই ভোটকেন্দ্রে কেবল কক্ষ বাড়িয়ে, একটি ব্যালট বাড়িয়ে ভোট নেওয়া যাবে। এতে ভোট কর্মকর্তার সংখ্যা কিছুটা বাড়বে। আর ব্যালট বক্স কিছুটা বাড়াতে হবে।
তবে একসঙ্গে ভোট করলে গণনায় অনেক সময় লেগে যাবে। এতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাত ফুরিয়ে যেতে পারে।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকার মতো ব্যয় ধরা হয়েছে। এর সঙ্গে গণভোটের জন্য আরো তিন শ থেকে চার শ কোটি লাগতে পারে। আর আলাদা করে গণভোট করতে গেলে প্রায় একই রকম অর্থ ব্যয় হতে পারে।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন