সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় ট্রাম্প সিরিয়ার ওপর আরোপিত কঠোরতম নিষেধাজ্ঞাগুলোর কিছুটা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবারের এই ঘোষণাটি হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে শারার বৈঠকের সময় মিলেছে। এটি সিরিয়ার নতুন প্রশাসনের পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে দৃঢ় অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রচেষ্টাকে ইঙ্গিত করে, বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর।
এটি একইসঙ্গে আল-শারার নাটকীয় রূপান্তরকেও তুলে ধরে — একসময় আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট নেতা হিসেবে পরিচিত তিনি এখন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলছেন।
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে সিরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, সেগুলোকে কীভাবে আরো জোরদার ও উন্নত করা যায় এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে পারস্পরিক স্বার্থ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
অন্যদিকে, বৈঠকের পর ট্রাম্প আল-শারার ব্যাপক প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘সে এক কঠিন জায়গা থেকে এসেছে, এবং সে নিজেও কঠিন মানুষ।
আমি তাকে পছন্দ করি।’
ট্রাম্প আরো বলেন, ‘আমরা সিরিয়াকে সফল করতে যা কিছু করা দরকার তাই করব, কারণ এটি মধ্যপ্রাচ্যেরই অংশ। এখন মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি এসেছে, এমন শান্তি যা কেউ আগে কখনো দেখেনি।’
ট্রাম্প দাবি করেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় কার্যকর যুদ্ধবিরতি মধ্যপ্রাচ্যে ঐতিহাসিক শান্তি এনেছে।
তবে বাস্তবে ইসরায়েল এখনও প্রতিদিন দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ও লেবাননে প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে আল-শারা সশস্ত্র সিরীয় বিরোধী যোদ্ধাদের নেতৃত্ব দিয়ে বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করেন এবং এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটান, যা ২০১১ সালে আসাদের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান হিসেবে শুরু হয়েছিল।
আল-শারা হচ্ছেন প্রথম সিরীয় প্রেসিডেন্ট যিনি হোয়াইট হাউস সফর করেছেন। এর আগে গত মে মাসে সৌদি আরবে সফরের সময় ট্রাম্প তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং তখনই তিনি সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করেন।
জিবি নিউজ24ডেস্ক//

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন